• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৭:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৭:৪৬ পিএম

রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু

রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু

রাজশাহীতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শাপলা বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার পর তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখা চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার শাপলা বেগমের স্বামীর বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধাধাশ। তার স্বামীর নাম হাসিবুল ইসলাম। 

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস শাপলার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় নিজ গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন শাপলা বেগম। গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রক্ত পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
পরে ওই ওয়ার্ডে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। আজ সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

শাপলা বেগমের পিতা রেজাউল করিম জানান, আমার মেয়ে শাপলাকে দুই বছর পূর্বে একই উপজেলার ধাধাশ গ্রামের হাসিবুল ইসলামের সাথে বিবাহ দিয়। তারপর থেকে সে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতো। কয়েক দিন আগে সে জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়। পরে লাশ নিয়ে আমার বাড়ির পাশে কবরস্থানে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীতে মৃত্যুর সংখ্যা এ নিয়ে দুই জনে দাঁড়ালো। এর আগে গত ১২ আগস্ট রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হাউসনগর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে। রাজধানী ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে তিনি সেখানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

কেএসটি

আরও পড়ুন