• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম

খুলনায় শিশু আফসানা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি

খুলনায় শিশু আফসানা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি
শিশু আফসানা মিমি  -  ছবি : জাগরণ

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খালিশপুর থানা এলাকার বাস্তুহারা কলোনিতে শিশু আফসানা মিমিকে দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুজনের ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের ১ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তুহারা কলোনির রোড নং-৯, বাড়ি নং-৪৯৮ এর বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের শিশুকন্যা আফসানা মিমি বাসা থেকে বেরিয়ে ঝালমুড়ি কিনতে যায়। কিন্তু অনেক সময় পরও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ইমাম হোসেন রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন। পরের দিন দুপুর ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস আফসানা মিমির লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে দেখতে পেয়ে ইমাম হোসেনকে খবর দেন। 
এ ঘটনায় ইমাম হোসেন খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও ইমাম হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকার কালা বাবুল, কাদের, এমদাদসহ অন্যরা তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্ত্যক্ত করত। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেস আলি আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলায় যাদের খালাস দেয়া হয়েছে তারা হলেন মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলি (২৪), মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট  মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালতের এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার আশা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।

এনআই

আরও পড়ুন