• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১২:১৭ পিএম

পুলিশকে বেঁধে রেখে ৬ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

পুলিশকে বেঁধে রেখে ৬ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

বরিশালের বাকেরগঞ্জে টহল পুলিশ ও নৈশপ্রহরীসহ অন্যদের বেঁধে রেখে এক রাতে ৬টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এসময় ডাকাতের হামলায় জসিম নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে প্রথমে বরিশাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি বাজারে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত দেড়টার দিকে নদী পথে ২-৩টি স্পিডবোডযোগে আসা একদল ডাকাত কলসকাঠি বাজারের ৬টি স্বর্ণের দোকানে হানা দেয়। এর আগে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী ও বাজারের লোকেদের ধরে পেছন থেকে হাত বেঁধে রাখে এবং পরে সেখানকার সেফা ফার্মেমি নামক একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে তাদের আটকে রাখে।

তারা জানান, ‘ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা বাকেরগঞ্জ থানার একটি টহল টিম ঘটনাটি টের পেয়ে বাজারে ছুটে যান এবং ডাকাত সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় টহল টিমের নেতৃত্বে থাকা এএসআই জসিম উদ্দিনের মাথায় পেছন থেকে লোডার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে পেছন থেকে হাত বেঁধে বাজারের অন্যদের সাথে ফার্মেসির মধ্যে নিয়ে আটকে রেখে ৬টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, ডাকাত দল কলসকাঠি বাজারের লক্ষী জুয়েলার্স, কলসকাঠী অলঙ্কার ভবন, কনাই কর্মকারের স্বর্ণের দোকান, পাল অলঙ্কার ভবন, সোনার গহনা ভবন সহ ৬টি স্বর্ণের দোকানের স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কার লুট করে। সব মিলিয়ে ৬০ ভরির ওপর স্বর্ণালংকার ও ১শত ভরির ওপরে রূপা এবং নগদ কয়েক লাখ টাকা লুট হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এদিকে, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, ‘খবর পেয়ে রাতেই আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে ছুটি যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছাবার আগেই ডাকাত দল লুটপাট করে পালিয়ে যায়। পরে ফার্মেসিতে বন্ধ পুলিশ সদস্য ও বাজারের অন্যান্য লোকেদের উদ্ধার করা হয়েছে।

তাছাড়া এএসআই জসিমকে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে ‘এএসআই জসিম এর নেতৃত্বে টহল টিমে তিন জন পুলিশ ছিল। এর মধ্যে ২ জন কনস্টেবল। ঘটনার সময় এএসআই জসিমকে মারধর করে বেধে ফেলা হলেও বাকি দুই কনস্টেবলকে নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। 

তবে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালামকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। যদিও পরে ওই দুই কনস্টেবল কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ছিল বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন ওসি। তাছাড়া এই ঘটনায় বেলা ১২টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কেএসটি

আরও পড়ুন