• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম

মোংলা হবে বিশ্বের অন্যতম সমুদ্রবন্দর : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

মোংলা হবে বিশ্বের অন্যতম সমুদ্রবন্দর : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সভায় বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী  -  ছবি : জাগরণ

আগামী ২০২১ সালে পদ্মা ব্রিজ, মোংলা-খুলনা রেলপথ, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, ফয়েলা বিমানবন্দরসহ চলমান সব প্রল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা বাড়বে মোংলা বন্দরের। সে লক্ষ্যে আগামীর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকার ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০২৫ সালে মোংলা হবে বিশ্বের অন্যতম সমুদ্রবন্দর।

মোংলা বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির সভায় এমন মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য ডাক্তার মোজ্জাম্মেল হোসেন, কোস্টগার্ড মহাপরিচালকের প্রতিনিধি পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মিনারুল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খুলনা লুৎফুল কবির, বারবিডার সভাপতি আবদুল হক, খুলনা চেম্বারের সহসভাপতি মোস্তফা জেসান ভুট্টু, মোংলা বন্দর স্টিভিডরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন, নৌপরিবহন মালিক সমিতির সহাসচিব পল্টু খানসহ বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

সভার শুরুতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজ্জাম্মেল হক বন্দরের চলমান সকল প্রকল্প ও প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে বন্দর প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সভায় বন্দরের বিদ্যমান নানা সমস্যা তুলে ধরে ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, বন্দরের কন্টেইনার ইয়ার্ড ব্যবহারের অযোগ্য, তাই একটি নতুন শেড নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের বর্তমান চ্যানেল সিলটেশনের কারণে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। তাই বিকল্প চ্যানেল জাফর পয়েন্ট চালুর করলে বন্দর ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, খুলনার রুজবেল্ট জেটির আদলে মোংলা বন্দরে একটি আধুনিক জেটি নির্মাণ এবং সুপেয় পানি সংরক্ষণের জন্য সুব্যবস্থা করতে হবে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা কাজে লাগাতে একটি ডিপো নির্মাণের দাবি করেন বাগেরহাট চেম্বারের সভাপতি লিয়াকত আলী। মোংলায় একটি বন্দর থানা নিমার্ণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ কুমার। নৌ চলাচল নিরাপদ রাখতে বন্দর চ্যানেলে নেভিগেশন ব্যবস্থা উন্নত করার আহ্বান জানানো হয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে।

উপদেষ্টা কমিটির সভায় সবার মতামতের আলোকে ২৬টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজ্জাম্মেল হক সবার উদ্দেশে জানান, আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা মাথায় রেখে মোংলা বন্দর নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। জাপানি একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে তৈরি করা ওই প্ল্যানে থাকবে আধুনিক মোংলা বন্দর গড়ার নানা চিত্র।

সভা শেষে বিকালে মোংলা বন্দরের নবনির্বাচিত কর্মচারী সংঘের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দর পরিদর্শন করলেন উপমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।

এনআই

আরও পড়ুন