• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম

চাঁদপুরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে নেয়া হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রধান মেম্বারকে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার কোয়রকান্দি এলাকার আব্দুল কাদির ফকিরের ছেলে আবুল কালাম (৫০), মো. বাবুল (৪২), মো. খোকন (৪৫) ও কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদী থানার আশুরকান্দা এলাকার ফল্লু মিয়ার ছেলে মো. লিটন (১৯)।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নিহত আব্দুল মতিন প্রধান নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার থেকে এক অপরিচিত কাপড় ব্যবসায়ীকে এগিয়ে দেয়ার জন্য সুজাতপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুজাতপুর হতে দাসের বাজার সংযোগ ঘোড়াইরকান্দি গ্রামের জনৈক সফিকুল ইসলামের বাড়ির আনুমানিক ৭০০ গজ দক্ষিণ এসে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা পড়ে থাকতে দেখে তার পকেটে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার ছেলেকে সংবাদ দিলে সেখান থেকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই উল্লেখিতদের অভিযুক্ত করে মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বাদী নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার বাবা ও আসামিরা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। তাদের সম্পত্তিগত সমস্যা নিয়ে আমার বাবা সালিস বৈঠকে রায় দেন। ওই রায় তাদের পক্ষে না হওয়ায় বিরোধ দেখা দেয়। সেই থেকেই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করে।’

সরকারপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্লাহ বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় পড়ে শোনানো হয়। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে এই রায় দেন।

সরকারপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার হোসেন অভি এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন তবদিল হোসেন।

এনআই

আরও পড়ুন