• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম

মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কার ও খননের দাবিতে মানববন্ধন

মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কার ও খননের দাবিতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কার ও খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কারের দাবি জানানো হয়। বলা হয় এক সময়ের খরশ্রোতা নদী দখল দূষণে তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। 

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি। কমিটির আহবানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেত হতে থাকে জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। 

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ডালিম, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আলাউদ্দিন আলী, নজির আহম্মেদ, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান মুকুল, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সুমন পারভেজ ও উন্নয়নকর্মী হুসনে আরা হাসি। 

এসময় বক্তারা বলেন, দেশে যে কয়টি সীমান্ত নদী আছে মাথাভাঙ্গা নদী তার অন্যতম। নদীটি এ সময় খরস্রোতা থাকলেও কালের বির্বতণে নদীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা দিনের পর দিন নদীটি দখল করে চলেছে। এর পাশাপাশি শহরের বজ্য নদীতে ফেলে নদীর পানি দূষিত করা হচ্ছে। দিনে দিনে নদীটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। 

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, মাথাভাঙ্গা নদী না বাঁচলে এ অঞ্চলের মানুষও বাঁচবে না। মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচলে জেলার কুমার নদ, ভাটুই নদী, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ও ভৈরব নদ বাঁচবে এবং এই অঞ্চলের জীব বৈচিত্র সহ পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা পাবে। বাঁচবে প্রকৃতি ও জীবন। নদীটি দ্রুত সংস্কার ও খনন না করা হলে খুব দ্রতই মাত্রচিত্র থেকে হারাবে নদীটি। তাই নদীটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। 

কেএসটি

আরও পড়ুন