• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম

ক্যাম্প পরিদর্শনে সংসদীয় কমিটি

রোহিঙ্গাদের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়

রোহিঙ্গাদের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক  -  ছবি : জাগরণ

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের কারণে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ খাতে আর কোনো ধরনের বনাঞ্চল ও সম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রে পূরণীয় নয়। বিশেষ করে, হাতিসহ প্রাণী জীববৈচিত্র্যে সম্পদ সংরক্ষণে এসব ক্ষতি রোধ মোকাবেলা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন। বৃহস্পতিবার উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশের যেসব ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এক বৈঠকে তিনি ও কমিটির অপরাপর সদস্য ছাড়াও উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুতুপালং মেগা-১৭ নং ক্যাম্পে রিফিউজি রিলিফ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় পরিবেশ, বন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলপূর্বক পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের কারণে গত দুই বছরে সংগঠিত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের কারণে ৬ হাজার একর রক্ষিত, সংরক্ষিত ও সামাজিক বনায়ন, বনজ সম্পদ সম্পূর্ণ ও ক্যাম্পসংলগ্ন আরো ১ হাজার ৮০০ একর বনাঞ্চল, বনজ সম্পদ ও প্রাণী জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির দিক বর্ণনা দেয়া হয়। এসবের কারণে বিপন্নপ্রায় এশিয়ান প্রজাতির হাতিসহ পরিবেশবান্ধব অসংখ্য প্রাণী জীববৈচিত্র্য বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে, হাতির বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে খাদ্য, পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়া, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার ক্রমাবনতি, বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় স্থানীয় লোকজন জ্বালানি সংকটে পড়েছে, তাদের জন্য বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থাকরণ, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়ভাবে দিনের পর দিন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে সুপেয় নিরাপদ পানি সংকট তীব্র হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প জ্বালানি ও পানির ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে সহ বিভিন্ন জরুরি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, জাফর আলম এমপিসহ কমিটির অন্য সদস্যরা ছাড়াও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. শফিউল আলম চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহম্মদ, উপপ্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপ্রধান বন সংরক্ষক আবদুল আওয়াল তালুকদার, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উখিয়া ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এনআই

আরও পড়ুন