• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৯:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৯:২২ এএম

নাম মাত্র দামে খড় বিক্রি, পেশা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা

নাম মাত্র দামে খড় বিক্রি, পেশা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
চাটমোহরের কাটা নদী দিয়ে খড় আনা-নেয়া করছেন কৃষকরা -ছবি : জাগরণ

গোখাদ্য খড়ের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কাঁচা ঘাসের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে কৃষক ও গবাদিপশুর খামারীরা। এ কারণে নামমাত্র দামে বিক্রি হচ্ছে খড়। এতে পেশা ধরে রাখা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের খড় ব্যবসায়ীরা।

অনেকদিন ধরেই চাটমোহর কুমারগাড়া এলাকায় খড়ের ব্যবসা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা তারেক। তিনি বলেন, এ বছর ১ আটি খড় বিক্রি করছেন ১টাকা ৮০পয়সা দরে। এক আটি খড়ে লাভ থাকে ২০-৩০পয়সা। গত বছর এক আটি খড়ের দাম ছিল আড়াই টাকা। এর আগের বছর এক আটি বিক্রি করেছিলেন ৬টাকা দরে। উপজেলায় আনুমানিক ২৫/৩০জন খড় ব্যবসায়ী আছেন। তারা সারা বছরই ব্যবসা করেন। কোনো রকমে ব্যবসা ধরে আছি, বললেন তারেক।

খড়ের আরেক ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, এ ব্যবসায় আগের মতো লাভ নেই। আগে চাহিদা বেশি হওয়ায় যোগান দিতে পারতাম না। এখন খামারিদের কাছে সেঁধে খড় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই এই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

রাজশাহীর কাশিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাক হোসেন। খড়ের ব্যাপারী। তার কথায়, তিনি হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে খড় কেনেন। এর সঙ্গে যোগ করতে হয় পরিবহন খরচ। দিতে হয় পথে পুলিশের বখরা। ১৮হাজার আটি খড় আনতে ট্রাক ভাড়া দিতে হয় ১১হাজার টাকা। ১ হাজার আটি খড় বিক্রি করলে লাভ থাকে দেড়ম থেকে দুইশ টাকা।

কুমারগাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বানু জানান, কয়েকদিন দিন আগে তিনি ১শ আটি খড় কিনেছিলেন ১৭০টাকা দরে। 
জাবকোল গ্রামের কৃষক ও খামারী কাজী মোহাম্মদ আলীর ভাষ্য, গরুর খামারিদের বছরের ৩/৪মাস (বর্ষাকালে) খড়ের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। এ সময় আবাদি জমি পানিতে ডুবে যায়। কাঁচা ঘাস পাওয়া যায় না। খড়ের চেয়ে কাঁচা ঘাসে দুধও বেশি হয়।

চাটমোহর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলছেন, হাইব্রিড জাতের কাঁচা ঘাসে খনিজ উপাদান ও পুষ্টি বেশি থাকে। সহজলভ্য হওয়ায় গোখাদ্যের খরচও কম পড়ে। দানাদার খাবারে গবাদিপশু অসুস্থ বেশি হয়। কাঁচা ঘাসে এটা (অসুস্থ্য) কম হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছেন, এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ঘাসের আবাদ হয়েছে।

 


 

আরও পড়ুন