• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৯:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৯:২৩ এএম

দীর্ঘ ৭ বছর পর বরিশাল জেলা-মহানগর আ.লীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত

দীর্ঘ ৭ বছর পর বরিশাল জেলা-মহানগর আ.লীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত

দীর্ঘ সাত বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দলের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দুটি ইউনিটের কাউন্সিলর হবে। এছাড়াও আগামী ১ ডিসেম্বর বরগুনা, ২ ডিসেম্বর পটুয়াখালী ও ৩ ডিসেম্বর হবে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম এর উপস্থিতিতে বিভাগের ৪টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম। এছাড়া সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস জানান, ‘আগামী ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন চূড়ান্ত হয়েছে। তবে তার আগেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা এবং তাদের অধিনস্থ ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে।

অপরদিকে, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, ৭ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগে ২০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হবে।

এদিকে, বরিশালে পৃথক দুটি সাংগঠনিক আলোচনা সভায় বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হলেও ঝালকাঠি ও ভোলার সম্মেলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ দুটি জেলার সম্মেলনের বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ‘সর্বশেষ ২০১২ সালে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলের জেলায় আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সভাপতি এবং অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরন সভাপতি এবং অ্যাড. আফজালুল করিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে এই কমিটি পূর্ণাঙ্গা এবং অনুমোদনের আগেই সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যু হয়।

ফলে ২০১৬ সালে সিলেকশনের মাধ্যমে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি এবং ২০১২ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক সহ ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। সে হিসেবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে প্রায় ৭ বছর আগে।

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের খবরে নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। তবে মহানগর কমিটির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসলেও জেলার শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতারা।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন