• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১১:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১১:১৫ এএম

মরণফাঁদ ঝিনাইদহের ৩ ব্রিজ 

মরণফাঁদ ঝিনাইদহের ৩ ব্রিজ 
ঝিনাইদহ-যশোর সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ব্রিজ- ছবি : জাগরণ 

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি ব্রিজ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অত্যন্ত ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত খুলনা ও স্থলবন্দর বেনাপোলের সাথে ঢাকা ও রাজশাহীর গাড়িগুলো মালামাল ও যাত্রী পরিবহন চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে ৩টি ভাঙা ব্রিজে মানুষের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।

ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের ছালাভরায় ব্রিজের দু’পাশেই ফাটল ধরে ধসে গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ হালকা ও ভারী মালবাহী পণ্য চলাচল করে। এই জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি নতুন করে সংস্কার করে নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় মানুষ, যাত্রী ও চালকরা।

মোবারকগঞ্জ চিনিকলের পাশে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ব্রিজটি নির্মাণ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। একবার রাস্তায় যানবাহন আটকে গেলে রাস্তার উভয় পাশে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহন আটকা পড়ে। এ ব্রিজটি ঠিকাদারের গাফলতির কারণে মেরামত করা হয়নি যথাসময়ে, অভিযোগ এলাকাবাসীর। এছাড়া, মহাসড়কের একপাশে রাস্তা খুঁড়ে রাখায় প্রতিদিন এ ভাঙায় যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

একই অবস্থা ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের হামদহ এলাকায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল গেটের সামনে। ওই ব্রিজে প্রায় ৫ মাস আগে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার কারণে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে একপাশ বন্ধ করে দেয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়েও যাত্রী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহনসহ স্থানীয় ৩ চাকার যানবহন চলাচল করে থাকে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন করে ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ সড়ক-জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, উল্লিখিত ব্রিজ তিনটির ব্যাপারে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।  শিগগিরই সমস্যা দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

আরও পড়ুন