হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণার অভিযোগে শামীম মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শামীম মিয়া উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের বাহাদুর আলীর কন্যা লুৎফা আক্তারের সাথে একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আওলাদ মিয়ার পুত্র লন্ডন প্রবাসী গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী গোলাম মোস্তফা ফের চলে যান লন্ডনে।
লুৎফা আক্তারের অভিযোগ, স্বামী চলে যাওয়ার পর লুৎফা আক্তারের সাথে শামীম তার ছবি সংযুক্ত করে একটি ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে। ২০১২ সালের ২৭ জুন তারিখ দিয়ে তৈরি করা এফিডেভিটে উল্লেখ করে লুৎফার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং ওই তারিখে সে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে হবিগঞ্জ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিন্তু এসব কিছুই জানতেন না লুৎফা।

এদিকে সম্প্রতি শামীম মিয়া এফিডেভিটের কপি এলাকার বিভিন্ন মানুষকে দেখায় এবং প্রচার করে লুৎফার সাথে ২০১২ সালে তার বিয়ে হয়েছে। এমনকি লুৎফার স্বামী প্রবাসী গোলাম মোস্তফার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এই ভুয়া এফিডেভিটের কপি পাঠায় শামীশ।

এ ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লুৎফা আক্তার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে নবীগঞ্জ থানার এসআই কাওসার আলমসহ একদল পুলিশ নবীগঞ্জ শহরতলীর নতুন বাজার মোড় থেকে শামীম মিয়াকে আটক করে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যালয়ে হাজির করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসান ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগে শামীমকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এনআই