• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম

তিন কারণে বিকাশ হচ্ছে না মিঠা পানির শুঁটকিশিল্প

তিন কারণে বিকাশ হচ্ছে না মিঠা পানির শুঁটকিশিল্প

গড়ে উঠেনি মাছের শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। নেই সংরক্ষণাগার। বছর-বছরে কমছে দেশীয় মাছ। এ তিন কারণেই বড় পরিসরে বিকাশ ঘটছে না পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের শুঁটকিশিল্প ব্যবসা। এখনই উদ্যোগ না নিলে আগামীতে হারিয়ে যেতে পারে মিঠা পানির মাছের শুঁটকি।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণেই গড়ে ওঠেনি কোন প্রক্রিয়াজাত বা সংরক্ষণাগার কেন্দ্র। এ নিয়ে কোন উদ্যোগ এখনও চোখে পড়েনি বিলপাড়ের বাসিন্দাদের। এর ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
নামকাওয়াস্তে কিছু লোকজনকে শুঁটকি মাছের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েই আপাতত দায় সারছে স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর। বাবা-দাদাদের শেখানো কৌশলেই প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে মাছের শুঁটকি। এ শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিলে কেবল চলনবিলের মাছের শুঁটকি থেকেই আয় হবে লাখ লাখ টাকা বৈদেশিক অর্থ। সঙ্গে দেশের শুঁটকি মাছের মোট চাহিদার একটা অংশ মেটানোর সুযোগ থাকবেই। এ অঞ্চলের মাছের শুঁটকির চাতালে বছরে কি পরিমাণ মাছের শুঁটকি তৈরি হয়- তার সঠিক হিসাব নেই স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরে। স্থানীয়দের ধারণা কমপক্ষে ৫০-৬০ টন মাছের শুঁটকি হয় শুঁটকির চাতালগুলোতে।

জানা যায়, আগের মতো বড় আকারের বোয়াল, শৈল, টাকি, সোনালী টেংরা, বাসপাতা, বাতাসিসহ শুঁটকিযোগ্য সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও চড়া। এদিকে, আবার অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকারের কারণে কমে যাচ্ছে বিলের মাছ। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে প্রতিবছরই নদী ও বিলে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ ধরেন একটা চক্র। মান্ধাতা প্রক্রিয়ায় তৈরি করা মাছের শুঁটকি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানের আড়তে। ব্যাপারিরা নিজে এসেও কিনছেন। স্থানীয় বাজারে এ শুঁটকি কমই বিক্রি হয়। নিজেদের বাড়িতেই কম-বেশি মাছ শুঁটকি করেন বিলপাড়ের বাসিন্দারা। নিজেদের তৈরি করা মাছের শুঁটকি তাদের চাহিদা মেটায় বছরজুড়ে। মিঠা পানির মাছের শুঁটকির আলাদা কদর থাকায় কিছু শুঁটকি যাচ্ছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলছেন, এ বছর কি পরিমাণ মাছের শুঁটকি হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে কিছু লোকজনকে শুঁটকির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র বা সংরক্ষণাগার নির্মাণের জন্য কোন প্রস্তাবনা কোন দপ্তরে পাঠানো হয়নি।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন