• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০২:৩৫ পিএম

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা

জনতার হাতে ধরা খেলেন ৩ পুলিশ সদস্য

জনতার হাতে ধরা খেলেন ৩ পুলিশ সদস্য
জনতার হাতে আটক তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের এক সোর্স  -  ছবি : জাগরণ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বজলুর রহমান (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার সময় তিন পুলিশ সদস্য ও তাদের এক সোর্সকে আটক করেছে জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক পুলিশ সদস্যরা হলেন মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল, কনস্টেবল গোপাল সাহা ও কনস্টেবল রাসেল। এছাড়াও হাসান নামের এক সোর্সকেও আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মির্জাপুর থানাধীন বাঁশতৈল ফাঁড়ির তিন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া-রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় যান। তারা ওই এলাকার ফরহাদের ছেলে দিনমজুর বজলুর রহমানের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে জোর করে পুলিশের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলেন। এ সময় বজলুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই অটোরিকশার গতিরোধ করে।

এ সময় বজলুর স্থানীয়দের জানায়, তার পকেটে পুলিশ জোর করে ইয়াবা দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। বজলুর কথা শুনে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওই তিন পুলিশকে আটক করে তাদের পকেট তল্লাশি করে বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই তিন পুলিশ সদস্যকে পিটুনি দিয়ে একটি দোকানঘরে আটকে রেখে সখীপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়।

সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যরা সেখানে মাদক উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। ভুল-বোঝাবুঝির কারণে তাদেরকে স্থানীয় জনতা আটকে রেখেছিল।’

এনআই

আরও পড়ুন