• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১০:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম

কংক্রিট খসে বেরিয়ে এসেছে রেলিংয়ের রড 

কংক্রিট খসে বেরিয়ে এসেছে রেলিংয়ের রড 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর নির্মিত নাওভাঙ্গা সেতুটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেতুর উভয় পাশের রেলিং ভেঙে পড়ছে। কোথাও আবার রেলিংয়ের কংক্রিট খসে পড়ে রড বেরিয়ে এসেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সেতু সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি নিয়েই পথচারী ও যানবাহন সেতু পারাপার হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরীপুর উপজেলার সীমানা ভাগ করেছে কাঁচামাটিয়া নদী। নদীর এক পাড়ে ঈশ্বরগঞ্জের তারুন্দিয়া ইউনিয়ন অন্য পাড়ে গৌরীপুর ভাংনামারী ইউনিয়ন। নদী পারাপারের সেতু না থাকায় দুই পাড়ের বাসিন্দারা নৌকা দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য আনা নেয়া করতেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঈশ্বরগঞ্জ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে ভাংনামারী ইউনিয়নের নাওভাঙা বাজারের পাশে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর উপর ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর সেতুটি নাওভাঙ্গা সেতু হিসাবে পরিচিতি পায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির রেলিংয়ের কংক্রিট খসে রড বেরিয়ে গেছে। রেলিং ভেঙে নিশ্চি‎হ্ন হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। পাটাতনের কংক্রিটও খসে যাচ্ছে। সেতুটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার হওয়ায় এমন দূরাবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার বেপারী বলেন, সেতু নির্মাণের পর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু দুর্বলভাবে সেতু নির্মাণ করায় সেতুটি ভেঙে যাচ্ছে। এমন দূরাবস্থা কোনো সেতুর থাকতে পারে না। সবসময় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হালিম বলেন, সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই উপজেলার দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বেশ নাজুক। এটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, এ ধরনের সেতুকে লো-কস্ট সেতু বলা হয়। গ্রামীণ যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সেতুগুলো নির্মিত হয়েছিল। বেশির ভাগ সেতুরই এমন অবস্থা। ওই সড়কটি পাকাকরণের সময় নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন