• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম

ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়

ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়
কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পঞ্চগড় - ছবি : জাগরণ

পঞ্চগড়ে পৌষের শুরু থেকেই বেড়েছে ঘন কুয়াশার পরিমাণ। জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করেছে যানবাহনগুলো। দিনভর অনুভূত হয়েছে তীব্র শীত। প্রায় সারা দিন ভালোভাবে দেখা মেলেনি সূর্যের। দুপুরের পর কিছুটা সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায়। গত দুই দিন ধরে একই অবস্থা বিরাজ করছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা অনেকটা ওঠানামা করছে। দুই দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। তবে আকাশে আট ভাগের মধ্যে ছয় ভাগ মেঘ থাকায় বায়ুমণ্ডল কিছুটা উষ্ণ আছে এ জন্য তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বিরাজ করছে।

তিনি আরো জানান, এ এলাকা হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় সেদিক থেকেই হিমেল বাতাস আসে। এ জন্য অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক আগেই এখানে শীত নামে। একই কারণে শীতের তীব্রতা ও স্থায়িত্বও থাকে বেশি।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে জেলাজুড়ে প্রায় সারা দিনই অনুভূত হচ্ছে শীত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
সদর উপজেলার হাঁড়িভাষা ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের সমিজ উদ্দীন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ভালো ঠান্ডা (শীত) করছে বা। সারা দিনে মোটা (গরম) কাপড় গাঁওত (শরীরে) না দিয়ে বেড়া যায় না। কুয়াশাত তানে বেশি দূরত কিছু দেখা যায় না।’

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ইতোমধ্যে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পাঁচটি উপজেলায় ২৮ হাজার কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানও বিচ্ছিন্নভাবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বলে তিনি জানান।

এনআই

আরও পড়ুন