মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় জঙ্গি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যানের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি’ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অথচ আদালতে আনার সময় তার মাথায় টুপি ছিল না।
যেখানে আদালতে নেয়ার সময় টুপি ছিল না, সেখানে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর কে তার মাথায় পরিয়ে দিল কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের টুপি? বা কে তাকে সরবরাহ করল? কারাইবা পরতে দিলো মাথায়? এসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তিন বছর আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায়ে আজ বুধবার ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আসামি জঙ্গিরা আদালত কক্ষেই ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি ও জঙ্গিদের পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে কড়া নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে নিয়ে যায়।
আদালত কক্ষ থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যানের মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি দেখা যায়। এরপর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়।
আদালত কক্ষ ও বাইরে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী অনেক আইনজীবী জানান, সকালে আদালতে আনার সময় কারও মাথায় এমন টুপি ছিল না। বের হওয়ার সময় রিগ্যানের মাথায় এই টুপি দেখা যায়। কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা এসব জঙ্গিরা আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি কোথায় পেল তা নিয়ে উপস্থিত সবাই বিস্মিত হয়েছেন। এরা কারাগার থেকে এ টুপি নিয়ে এসেছে না কি আদালতে আনার সময় বা আনার পর কেউ তাদের কাছে এই টুপি দিয়েছে— এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কী আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল?
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও রায়ের পর দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি আমিও জেনেছি। আমি এখনই বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। এটা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত।
এফসি