• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম

দুদকের অভিযান 

মিলেছে না লিখেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের তথ্য

মিলেছে না লিখেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের তথ্য

কিছু না লিখেও উত্তীর্ণ হওয়া যায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষায়। এক শ্রেণির দালালদের সহায়তায় হরহামেশাই হচ্ছে এমন অনিয়ম। দুদকের পরিচালিত অভিযানে মিলেছে এমন তথ্যের সত্যতা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের হটলাইন- ১০৬ এ অভিযোগ আসে, রাজধানীর ইকুরিয়া বিআরটিএ কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ায় অনিয়ম ও হয়রানি, গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষায় অনিয়ম, লাইসেন্স দেয়ায় বিলম্বসহ নানাবিধ অনিয়ম হচ্ছে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে দুদক। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস ও উপসহকারী পরিচালক শিহাব সালামের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশসহ ৫ সদস্যের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন।  

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিআরটিএ আয়োজিত লিখিত পরীক্ষা হয় উন্মুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে, পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ না করে উত্তীর্ণ বা ফেল ঘোষণা দেয়া হয়। আর ফলাফল প্রকাশিত হয় অতি অল্প সময়ে।

দুদক জানায়, অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করেন এবং আলোচ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি সংঘটনের কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে উন্মুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র, পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ না করা, অতি অল্প সময়ে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা। এ সময় সেবা প্রত্যাশীগণ হয়রানির কথা অভিযান পরিচালনাকারী টিমের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। স্বল্প সময়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের ফলে মূল্যায়িত উত্তরপত্রের মধ্যে পাঁচটিতে নম্বরের গড়মিল লক্ষ্য করা যায়। যদিও পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হয়।

দুদক সূত্র আরো জানায়, অভিযান পরিচালনাকারী দলের নিকট ভুক্তভোগীগণ অভিযোগ জানান, দালালদের সহায়তায় পরীক্ষায় কিছু না লিখেও উত্তীর্ণ হওয়া যায়!

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, অভিযান পরিচালনাকারী দল পৌঁছানোর পূর্বে প্রায় ১০০ জনের পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ১৩০ জনের পরীক্ষা দুদক টিমের সম্মুখে গ্রহণ করা হয়। দুটি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম ব্যাচে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র একজন অনুত্তীর্ণ হয়েছেন এবং দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ এর অধিক অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।  

অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করে অভিযানকারী দল কমিশনে সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানায়।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন