• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২০, ১০:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০২০, ১০:৫৯ পিএম

তুরাগে কিশোরী ধর্ষন

আদালতে ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ, পুলিশি তৎপরতা জোরদার

আদালতে ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ, পুলিশি তৎপরতা জোরদার
তুরাগের কিশোরী ধর্ষন মামলার অভিযুক্ত আসামী তওহীদ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন তুরাগ থানার নয়নীচালা এলাকায় ১২ বছরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আসামী তওহীদকে গ্রেফতারে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা পুলিশ।

বুধবার (২০ মে) মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াজিউর রহমান দৈনিক জাগরণকে জানান, এই বর্বর ঘটনার শিকার কিশোরী মীমকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে শারীরক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে তার পরিবারের সঙ্গে বাসায় পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৮ মে) কিশোরী মীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেখানেই তার ল্যাব টেস্ট করানো হয়, তাতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেন এসআই ওয়াজিউর।
 
এদিকে বুধবার আনুমানিক সাড়ে ১১টা নাগাদ ১২ বছরের কিশোরী মীম ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের বিচার দাবিতে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে মানববন্ধন করে তুরাগের স্থানীয় জনগণ। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম তওহীদ (২৭)। সকাল সাড়ে এগারটায় তুরাগের নয়ানীচালা এলাকার ৪ নম্বর রোডের ডি ব্লকে অবস্থিত ৫০নং বাড়ির সামনে প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

অবিলম্বে ধর্ষকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই রাস্তায় নেমে এসেছেন বলে জানান এলাকার মানুষ। এ সময় ধর্ষক তওহীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও ধর্ষিতার পুনর্বাসনের জোর দাবি তোলা হয়।

বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। 'আমরা তুরাগবাসী' নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিন ও সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এ ঘটনার ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে উঠলে, ধর্ষক তওহীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রচারণা ও প্রতিবাদ। এক পর্যায়ে তা গোটা এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং একযোগে সকলেই এই পৈশাচিক ধর্ষনকাণ্ডের ঘটনার বিচারের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন।

গত ১৬ই মে নয়ানীচালার নিজ বাসার ৪র্থ তলায় পিতৃহীন, ১২ বছর বয়সী অসহায় কিশোরী মীমকে ঈদের জামা-কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় তওহীদ। পরে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে সে। একপর্যায়ে মীম বিবস্ত্র অবস্থায় হাসান মঞ্জিল নামের ওই বাড়ী থেকে চিৎকার করতে করতে নিচে নেমে আসলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেয়। এ সময় স্থানীয়দের নিকট ঘটনাটি খুলে বলে সে।

পরে খবর পেয়ে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কিশোরী মীমকে হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় তার ভাই বাদি হয়ে তুরাগ থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। ধর্ষনকাণ্ডের অভিযুক্ত আসামী তওহীদ তার পরিবারের সহায়তা নিয়ে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা পুলিশ।

এসকে 

আরও পড়ুন