• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম

ওয়ালটন-ফার্নান্ডো ঝড়ে চট্টগ্রামের জয় 

ওয়ালটন-ফার্নান্ডো ঝড়ে চট্টগ্রামের জয় 
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফটো : সংগৃহীত

নাঈম শেখের ঝড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৫৮ রানের মাঝারি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল রংপুর রেঞ্জার্স। চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং আভিশকা ফার্নান্ডোর উড়ন্ত সূচনা এবং ঝড়ো ইনিংসে ভর করে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সহজেই জিতেছে সাগর পাড়ের দলটি। '

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা রংপুর ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে। জবাবে চট্টগ্রাম ১০ বল ও ৪ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে। 

আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ শেহজাদ। দলীয় ২৫ রানে ৯ বলে ৯ রান করে কেশরিক উইলিয়ামসের বলে শেহজাদ ফেরত গেলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই রানের চাকা সচল রাখেন নাঈম। 

একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হলেও মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ১৮তম ওভারে ৫ বলে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া তরুণ এই ওপেনার। ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখিয়েছিলেন নিজের সামর্থ্যে। একাই লড়াইটা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত আর জেতাতে পারেননি বাংলাদেশকে। তবে ওই ম্যাচের পর থেকে নাঈম শেখের উপর বাড়তি নজর রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সম্ভাবনাও। 

এছাড়া মোহাম্মদ নবীর ১২ বলে ২১ রান ছাড়া কেউই বলার মতো সংগ্রহ গড়তে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রান করে রংপুর। 

৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পান কেশরিক উইলিয়ামসন। এছাড়া ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে এক উইকেট পান পেসার মেহেদি হাসান রানা। রুবেল আহমেদ, রায়ান বার্ল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পান একটি করে উইকেট। 

১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন এবং আভিশকা ফার্নান্ডো। মাত্র ৭ ওভারেই এই দুই ব্যাটসম্যান ৬৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। অষ্টম ওভারের ইংলিশ ক্রিকেটার লুইস গ্রেগরির বলে নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৩৭ রান করা আভিশকা ফার্নান্ডো; আর তাতেই ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। 

তবে অপর প্রান্তে চ্যাডউইক ওয়ালটন ঠিকই নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে ফিফটি তুলে নেন। মোহাম্মদ নবীর করা ১২তম ওভারের শেষ বলে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মারে ৫০ রান করে ওয়ালটন যখন ফিরছিলেন, তখন চট্টগ্রামের স্কোর ২ উইকেটে ১০৯ রান। অর্থাৎ দলের জয়ের রাস্তা তিনি ঠিকই পরিষ্কার করে দিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটে তিনি ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪১ রান যোগ করেন। 

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত দিবারাত্রির টেস্টে চোটে পড়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই চোট থেকে সেরে উঠতে তার বেশ সময় লেগে যায়। এরমধ্যেই তাকে বিপিএলের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচে টস করতে নামতে পারেননি তিনি। এরপর খেলতে পারেননি আরও এক ম্যাচ। তবে তৃতীয় ম্যাচেই তিনি ফিরলেন। অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি ৪ ওভার বল করে দারুণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে মাত্র ১৭ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন। ব্যাট হাতে একটি ছক্কার মারে ১৬ রানের বেশি অবশ্য তিনি করতে পারেননি। তবে শরীরী ভাষায় বোঝা গেছে, তিনি এখন পুরোপুরি ফিট। 

রিয়াদ আউট হওয়ার আগে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচের শেষদিকে মাত্র ৩ রান করে নাসির হোসেন আউট হলেও চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক ইমরুল কায়েস ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৪ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় সুনিশ্চিত করেই তুবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। 

রংপুরের পক্ষে লুইস গ্রেগরি ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি এবং মোহাম্মদ নবী ও টম অ্যাবেল একটি করে উইকেট পান।

আরআইএস