• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২০, ১২:৩১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২০, ১২:৩১ এএম

মোবাইল ব্যাংকিং

রেকর্ডের পরের মাসে কমল লেনদেন

রেকর্ডের পরের মাসে কমল লেনদেন
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রভাব শুরুর পর গত মার্চ ও এপ্রিলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছিল ব্যাপকভাবে। এরপর মে মাসে এ ব্যবস্থায় রেকর্ড ৪৭ হাজার ৬০১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। কিন্তু জুন মাসে আবার প্রায় ৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে। এই মাসে লেনদেন হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা। তবে মে মাসের তুলনায় জুনে সচল অ্যাকাউন্ট প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৮৬ লাখে গিয়ে ঠেকেছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যাপক মাত্রায় লেনদেন কমে গত এপ্রিলে মাত্র ২৯ হাজার ২৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগের মাস মার্চেও তুলনায় যা ২৭ শতাংশ কম। এর আগে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে লেনদেন কমেছিল ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যবস্থায় মোট ৪১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম-নীতি মেনে বর্তমানে ১৫টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। বর্তমানে এককভাবে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট। এছাড়া ডাক বিভাগের ‘নগদ’ নিজেদের মতো করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্তবর্তীকালীন একটি অনুমোদন নিয়েছে।

বংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুনে সারা দেশের ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৪ জন এজেন্ট সেবা দেয়। আলোচ্য সময় পর্যন্ত নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে সচল অ্যাকাউন্ট ৩ কোটি ৮৬ লাখ। মে পর্যন্ত ৮ কোটি ৭৯ লাখ অ্যাকাউন্টের মধ্যে সচল ছিল ৩ কোটি ৫৫ লাখ। জুনে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ ক্যাশ ইন কমে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকায় নামে। আর ক্যাশ আউট ৩ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকায় নেমেছে। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ের পরিশোধ কমেছে ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ, যার অংক ১৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। তবে বেতন পরিশোধের হার ৭ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৭৭ কোটি টাকা হয়েছে। ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ৬৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯৯৩ কোটি টাকা।

কেএপি

আরও পড়ুন