• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২০, ০৭:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০২০, ০৭:৫৩ পিএম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট বাদ দিয়ে সিঙ্গেল শিফট করা হবে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট বাদ দিয়ে সিঙ্গেল শিফট করা হবে

সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের গতানুগতিক পদ্ধতি পরিবর্তন করে আধুনিক পদ্ধতিতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক হোমওয়ার্ক বাতিলের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলোতে দুই শিফটের বদলে এক শিফটে পাঠদান দেয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয় কেন্দ্রিক লেখাপড়া শিক্ষকদের মাধ্যমেই বিদ্যালয়েই শেষ করার উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। বিদ্যালয়ে যতটুকু পাঠ শেষ করা যায় ততটুকু বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বেশি সময় থাকবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় কেন্দ্রিক লেখাপড়া বিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বেশি সময় অবস্থান করবে। এতে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পাঠের চাপ অনুভব করবে না। তখন শিশুরা বাড়িতে সবার সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাতে পারবে। এ লক্ষ্যে ডাবল শিফট বাদ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সিঙ্গেল শিফট করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, ২০২২ সালে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি নতুন কারিকুলামের কাঠামো তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ কাঠামোতে প্রাথমিকের পাঠ্যক্রম পরিমার্জিত করে কারিকুলামে এক শিফট করা হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় বাড়িয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বর্তমানে এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া তিনটা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

পরিবর্তিত এক শিফটের বিদ্যালয় পরিচালনায় নির্ধারিত সময় বাড়ানো হবে। এক শিফটেই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে।

ডাবল শিফট থেকে এক শিফটে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে শ্রেণিকক্ষসহ অন্যান্য সুবিধা তৈরি করতে হবে। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের স্কুলে অবস্থানের সময় বৃদ্ধি ও লেখাপড়া স্কুল কেন্দ্রিক করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। সেই বৈঠকে প্রি-প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠক্রমের ঘণ্টা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত শিক্ষক হয়ে গেলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করতে পারবো।

জাগরণ/এমইউ

আরও পড়ুন