• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম

নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব

কোনো অর্থই ব্যয় করেনি ৭টি দল!

কোনো অর্থই ব্যয় করেনি ৭টি দল!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদুরোদ্দৌজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও কর্ণেল অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিটি) সহ মোট ৭টি রাজনৈতিক দল দলীয়ভাবে নির্বাচনে কোনো অর্থই ব্যয় করেনি! অন্যদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চেয়ে নির্বাচনে বেশি ব্যয় করেছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদ নির্বাচনে দলীয় ব্যয়ের বিবরণ থেকে মিলেছে এসব তথ্য।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলডিপি ৮ জন প্রার্থী দেয়। এর মধ্যে ৪ জন জোটের প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করে। বিকল্পধারার ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৩ জন, জাসদের ১১ প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৪, গণফোরাম ২৮ প্রার্থীর মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে ৭ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ৬ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। এদের পেছনে দল থেকে কোনো টাকা খরচ করা হয়নি। সবাই নিজস্ব টাকা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

অন্যদিকে, দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল আর দলটি ইসিতে নির্বাচনি ব্যয় দেখিয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৮ হাজার ২১২টাকা। ব্যয়ের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ। ৫৭ জন প্রার্থী দিয়ে দলটি ব্যয় করেছে ১ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। দেশের অন্যতম বৃহত্তম দল বিএনিপি ব্যয়ের দিক দিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ২৫৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা ব্যয় করেছে দলটি। দলীয় ব্যয়ের দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৬০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ব্যয় করেছে ১ কোটি ৫লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৮ টাকা। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ জন প্রার্থী দিয়ে ব্যয় করেছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। 

অন্যদিকে, নির্বাচনে সবচেয়ে কম ব্যয় করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল। দলটি ১ জন প্রার্থী দিয়ে ব্যয় করেছে ২ হাজার টাকা। এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০টাকা, জাতীয় পার্টি-লাঙ্গল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৬০টাকা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ৭০ লাখ ২৪ হাজার ৭০০টাকা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪৬ টাকা ব্যয় করেছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ, সর্বোচ্চ ১০০ প্রার্থীর জন্য দেড় কোটি, সর্বোচ্চ ২০০ প্রার্থীরজন্য তিন কোটি এবং ২০০ এর বেশি প্রার্থী দিলে সংশ্লিষ্ট দল সর্বোচ্চ সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে।

আরপিও’র ৪৪ সিসিসি (৫) দফা অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সতর্ক (notice of warning) করে ৩০ দিন সময় দেবে ইসি। এই ৩০ দিনের মধ্যে কোনো দল হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে কমিশন চাইলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আরও ১৫ দিন সময় দিতে পারে। এই ১৫ দিনের মধ্যেও যদি কোনো দল হিসাব জমা না দেয়, তাহলে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলই ভোটে অংশ নেয়। গাইবান্ধা-৩ আসনে একজনপ্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থীপ্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৩ জনপ্রার্থী ৩৯টি রাজনৈতিক দলের। অবশিষ্ট ১২৮ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

এইচএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন