• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৭:০৬ পিএম

অনুমতি ছাড়া বদলি নয়, মন্ত্রিপরিষদকে ইসি

অনুমতি ছাড়া বদলি নয়, মন্ত্রিপরিষদকে ইসি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত কাউকে বদলি না করার কথা বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না বলে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রিপরিষদকে এ চিঠি দেয়া হয়।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-‘খ’)। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় কমিশনার, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে (পরিশিষ্ট- ‘গ’)।

নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/অঞ্জন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

আইনের সংশ্নিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যে কোন ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে উক্ত ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। উক্ত বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোন ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। ইতিপূর্বে এ ধরনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- ‘আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুসরণপূর্বক তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা জারি করার জন্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

প্রসঙ্গত, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। 

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন