• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০৫:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০, ০৭:৪৬ পিএম

তিন মাস আগেই সিটি নির্বাচন

তিন মাস আগেই সিটি নির্বাচন
মন্ত্রিসভার বৈঠক

সিটি করপোরেশন মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ছয় মাস নয়, তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে মেয়র-কাউন্সিলরদের ছুটি তিন মাস থেকে কমে এক মাস করা হচ্ছে। এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন সংশোধন আইন-২০২০ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন।

বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আইনটি অনুমোদনের তথ্য জানান।

সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচিত দুই মেয়র শপথ নেয়ার পরও দায়িত্ব পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ, তখনও আগের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়নি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেখা গেছে, বাস্তবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। এখন নিয়ম রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণের আগে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে রয়েছে যেদিন তারা মিটিং করবে সেই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সময় থাকবে। দেখা যায় ৪-৫ মাস আগে যদি নির্বাচন হয়ে যায় শপথ হলেও তারা দায়িত্ব নিতে পারতেছে না এই কন্ট্রাডিকশনের জন্য। মেয়াদ পূর্ণ না হাওয়ায় অনেক দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন তো বটেই, শপথ নেয়ার পরও তাদের অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য এটাকে একটু চেইঞ্জ করে নিয়ে আসা হযেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে। যেদিন শপথ হবে এর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে যাবে।

নতুন এই ব্যবস্থায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ থাকার পরও কি তাদের পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ এখন তো আর ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এতে ১৫ বা ১০ দিনের একটা ভেরিয়েশন মেয়াদের চেয়ে কম হয়। আগে তো ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস বসে থাকতে হতো। নতুন আইনে বলে দেয়াই হচ্ছে মেয়াদ সম্পর্কে আইনে যা-ই থাকুক নতুন পরিষদ যেদিন থেকে শপথ নেবে তার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম মিটিং করবে এবং সেই দিন থেকেই আগের পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের বছরে ছুটি ছিল তিন মাস। আজকে মন্ত্রিসভা বলেছে, ওনারা জনপ্রতিনিধি কিন্তু তাদের এক্সিকিউটিভ ফাংশন আছে ডে টু ডে নির্বাহী হিসেবে দৈনন্দিন কার্যক্রম। সুতরাং বছরে ছুটি এক মাস করে দেয়া হলো।

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন