• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০১৯, ০৭:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০১৯, ০৭:৩২ পিএম

ফণী আঘাত হানতে শুরু করেছে বাংলাদেশে

ফণী আঘাত হানতে শুরু করেছে বাংলাদেশে

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রভাগ বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করেছে। শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর ও খুলনার উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ফণীর অগ্রভাগ বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং ওইসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জাগরণকে জানিয়েছেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে- অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। এরই প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখনও এর গতিবেগ ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। তবে মূল ঝড় বাংলাদেশে আসতে আসতে এর গতি আরও কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।’

ফণীর বর্তমান গতিবেগ আছে ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। আবহাওয়াবিদদের ভাষায়- এই গতির ঝড়কে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

শুক্রবার বিকালে ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতিবেগ ৮০-৯০ কিলোমিটার হতে পারে। তাহলে ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানার পর এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ঝড়ের অগ্রভাগ দেশের যশোর ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকতে শুরু করলেও চার বন্দরের সর্তক সংকেত বদলানো হয়নি। সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায়ই থাকবে। একই কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আরএম/বিএস