• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০১৯, ০৪:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম

সারাদেশে ফণীর আঘাতে নিহত ১৪, ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানালো ৪

সারাদেশে ফণীর আঘাতে নিহত ১৪, ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানালো ৪

সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি হয়েছে। উপদ্রুত এলাকা থেকে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের সঙ্গে সরকারি তথ্যের ব্যবধান অনেক। ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা- ৪ জন। আর  প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ১৪ জন।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে সারা দেশে নিহত হয়েছেন ৪ জন। 

সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল তার বক্তব্যে জানান, ফণী’র আঘাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ভোলায়- রাণী বেগম (৫৫), নোয়াখালীতে- শিশু ইসমাইল হোসেন (২), বরগুনায়- নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯)।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভাপতি, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, তথ্য সচিব মো. আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০-৩৫ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ : ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- পাকুন্দিয়ার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রুবেল দাস (২৬)। 

ভোলা : ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল বারেক (৩৫) নিহত হন।

বরগুনা : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কাঠের ঘর ভেঙে পড়ে দাদী নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯) নিহত হন। 

বাগেরহাট : বাগেরহাটের সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নিহত হন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নিহত হন।

মাদারীপুর : মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি রুটে ঝড়ের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলের সময় স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে মুরাদ (২৫) নিহত হন। 

শুক্রবার (০৩ মে) সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। 

এমএএম/বিএস