• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম

জাতীয় বৃক্ষমেলায় এক টুকরো সুন্দরবন 

জাতীয় বৃক্ষমেলায় এক টুকরো সুন্দরবন 

জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০১৯-এ অন্যতম আকর্ষণ সুন্দরবন কর্ণার। যদিও ২০১৩ সাল থেকে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য্য ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত উপস্থাপন হয়ে আসছে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো জাতীয় বৃক্ষমেলায় সুন্দরবনের আদলে নির্মিত হয়েছে সুন্দরবন কর্ণার। সুন্দরবনে যা কিছু দৃশ্যমান তার প্রায় সবগুলো এই কর্ণারে স্থান পেয়েছে।

আঁকাবাঁকা খাল, বাঘ, হরিণ, বানর, বক, সাপ, গোলপাতা থেকে শুরু করে সবকিছুই গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে সুন্দরবন কর্নারে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে এ যেন সত্যিই সুন্দরবন।

বন বিভাগের সহযোগিতায় স্থাপনাটির ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেছেন পরিবেশকর্মী ও প্রমাণ্যচিত্র নির্মাতা জামিউর রহমান লেমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণের পর তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি পরিবেশ বিষয়ক নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে বেড়াচ্ছেন।

দেশে এখন বৃক্ষপ্রেমিকের সংখ্যা অনেক বেশি। এবারও বৃক্ষমেলায় গিয়ে তার যথাযথ প্রমাণ মিলেছে। মেলায় যারা গাছের চারা কিনতে ভিড় জমিয়েছেন তাদের অনেকের মতে, এবারের মেলায় সুন্দরবন কর্ণার স্থাপনাটি যথাযথই হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম জানতে পারছে সুন্দরবনকে। একই সঙ্গে তারা সচেতন হচ্ছেন বন, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে।

মেলায় আগত অনেকেই বলেছেন, এবারে বৃক্ষমেলায় আমরা এরকম একটা জায়গা পেয়ে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি ও বেশ মজা পাচ্ছি।

জামিউর রহমান লেমন দৈনিক জাগরণকে বললেন, ভালো লাগছে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ২০১৩ সাল থেকে এই কাজটি করছি। কি পাবো সে চিন্তা কখনই করি নি। তবে ভালো লেগেছে বৃক্ষমেলার এই স্থাপনাটি করার পেছনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকার বন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার ইতিবাচক আচরণ ও সহযোগিতার বিষয়টি।

সুন্দরবন স্থাপনার সামনে জামিউর রহমান লেমন

লেমন বলেন, আমার ইচ্ছে ঢাকায় মাত্র এক বিঘা জমির ওপর এ রকম একটি স্থাপনা তৈরি করার। যাতে করে দেশের ও দেশের বাইরের পর্যটক, পরিবেশপ্রেমী যাদের দীর্ঘপথ অতিক্রম করে সুন্দরবন দেখার সুযোগ হয় না তারা সহজেই এই জায়গায় এসে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে একঝলক দেখে কিছুটা স্বাদ অনুভব করতে পারবেন।

এসজে/এসএমএম