• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৮:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২০, ০৮:১৮ পিএম

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ১২০ কেজি প্লাস্টিক দ্রব্য সংগ্রহ 

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ১২০ কেজি প্লাস্টিক দ্রব্য সংগ্রহ 

দেশের একামাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় প্রায় ১২০ কেজি নাইলন ও প্লাষ্টিকের দ্রব্য সংগ্রহ করে তা রিসাইকেলের জন্য জমা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

ঢাকা ইউনিভার্সিটি নেচার কনজারভেশন ক্লাবের ‘গো-গ্রীণ’ ক্যাম্পেইন; সমুদ্র সৈকত থেকে এসব লাইনল ও প্লাষ্টিকের দ্রব্য অপসারণ কাজে অংশ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ঢাকা ইউনিভার্সিটি নেচার কনজারভেশন ক্লাবের ৩য় বর্ষ সম্মান শ্রেণির ৭৬ জন ছাত্র-শিক্ষক সম্প্রতি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে তিন দিন অবস্থান করে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন ধরনের কাজ পরিচালনা করে।
  
প্রকৃতি সংরক্ষণ কার্যক্রমের ‘গো-গ্রীণ’ ক্যাম্পেইনের পর্ব হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ১২ জানুয়ারী সকালে দ্বীপটির পূর্ব সীমানার মাঝামাঝি অংশের দেড় কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অপচনশীল দ্রব্য যেমন নাইলন বা প্লাস্টিক দ্রব্যের উপর সমীক্ষা চালায়। নাইলন ও প্লাস্টিক জাত চিপস প্যাকেট, চা কাপ, বোতল, পানির বোতল, পানির গ্লাস, প্লেট, ডাবের পানি খাবার স্ট্র, খাবার প্যাকেট, ভাঙ্গা চশমা বা কাঠি, মাছ ধরার জালের টুকরা, নাইলন দড়ির টুকরা ছাড়াও পোড়া মাটির ও ইটের ভাঙ্গা টুকরা পাওয়া যায়। পরিচ্ছন্নতার অংশ  হিসেবে দলটি সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১২০ কেজি নাইলন ও প্লাষ্টিকের দ্রব্য সংগ্রহ করে ও পরবর্তী ধাপে রিসাইকেলের জন্য জমা করে। এরমধ্যে একক ব্যবহারের (সিঙ্গেল ইউজ) প্লাষ্টিকের দ্রব্য প্রায় ৬৫ভাগ।  

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন,  দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টিতে দেশের প্রাচীন ও অন্যতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা খুবই আশাপ্রদ। 

তিনি এধরনের উদ্যোগ দ্বীপটিতে যাওয়া অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অনুসরণ করলে অনেকাংশেই দ্বীপটির প্রতিবেশের অবক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন। দ্বীপটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তথ্য পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।   

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম নিয়ামুল নাসের বলেন, ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে অনন্য দ্বীপটির বৈশিষ্ট ধরে রাখতে অবশ্যই প্লাষ্টিক বর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিহারে জোর দিতে হবে। দলটির অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বেগম বলেন, দ্বীপটির সামগ্রীক  জীববৈচিত্র নানা দূষণের কারণে আজ হুমকির মুখে। তাই জীববৈচিত্র রক্ষায় পর্যটক ছাড়াও দ্বীপবাসিদেরকেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। 

দলের অপর সহযোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া এই কার্যক্রমে ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহনের প্রশংসা করেন।

টিএস/এমএইচবি