• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২০, ০২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০২০, ০২:১৯ পিএম

আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুত ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুত ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র
ফাইল ছবি

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। 

মঙ্গলবার (১৯ মে) খুলনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূল এলাকায় আঘাত হাততে পারে এটি। এ আশঙ্কায় সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় ১৯টি জেলায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

৭ নম্বর সঙ্কেত দিলেই সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে।

সোমবার (১৮ মে) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণিতে ১৮ লাখ এবং বুলবুল'র সময় ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল। এবার আম্ফান মোকাবেলায় ৩০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে সতর্কতামূলক মাইকিং শুরু করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসাকেও আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় আনা হবে।

সূত্র মতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবারই আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার, শিশুখাদ্যসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

এসএমএম

আরও পড়ুন