• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০১:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০১:৩৮ পিএম

ডেঙ্গুতে স্বাস্থ্য উপসচিবের স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে স্বাস্থ্য উপসচিবের স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। তার নাম ফারজানা আক্তার (৪২)। এ নিয়ে এ বছর ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়াল। এদের মধ্যে ৬ জনই নারী। 
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে (শেবাচিম) দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ‍মৃতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে সোহেল (১৮)।

ঢাকা
সোমবার দিবাগত রাতে ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউতে মারা যান ফারজানা। রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় থাকতেন তিনি। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতের স্বজনরা জানান, ফারজানা আক্তার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনোমিক্স ইউনিটের উপপরিচালক ও উপসচিব ড. নুরুল আমিনের স্ত্রী ছিলেন। 

স্বজনরা জানান, ফারজানা আগেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২৯ জুলাই) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। মধ্যরাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে মৃত ৮ জনের ৬ জনই নারী। মৃত অপর সাতজন হলেন- ফরিদপুরের রাবেয়া (৫০), আজমপুরের ফাতেমা (৪৩), এলিফ্যান্ট রোডের নাসিমা (৩৩), কামরাঙ্গীরচরের হাফিজা (৬১), ডেমরার রাজু (২০), লালবাগের ফরহাদ (৪৪) ও গাজীপুরের রিতা। সবশেষ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মারা গেলেন ফারজানা আক্তার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসেব মতে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢামেকে ৫৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়েছে মোট ২০১১ জন; যার মধ্যে শুধু জুলাইয়ে ১৮৫৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও এ বছরের জানুয়ারিতে তিনজন, মার্চে চারজন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৮ জন, জুনে ১৩৫ ভর্তি হন। তবে জুলাইয়ের ২৮ দিনে এক লাফে এ সংখ্যা ১৮৫৮ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

বরিশাল
বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার গোসনতারা গ্রামের আমদ আলী’র ছেলে সোহেল  (১৮)।

তথ্যটি নিশ্চিত করেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত আসলামকে ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৩ এর অধিনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৩টায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া ২৯ জুলাই দুপুর ১টা ২০ মিনিটে একই ইউনিট-৩ এর অধিনে ভর্তি করা হয় সোহেলকে। তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টা ৪০ মিনিটে মারা যান।

পরিচালক বলেন, যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের শরীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাদের হার্ট, লিভার ও কিডনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যে কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ডা. বাকির হোসেন বলেন, মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে আমরা করা বলেছি। এরা দু’জনই ইতিপূর্বে ঢাকায় থাকতেন। সম্প্রতি ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বর বহন করে বরিশালে আসে। কিন্তু পরিবারের কাছ থেকে বিষয়টি গোপন রাখে। যখন তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৭ জন। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন ও বাকি ৯ জন নারী।

কেএসটি

আরও পড়ুন