• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম

জরিপে তথ্য

মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ১৭ শতাংশ মানুষ

মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ১৭ শতাংশ মানুষ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতীয় পর্যায় থেকে মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাথমিক স্বাস্থসেবার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার আহবানে সাড়া দিয়ে সরকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে বিষণ্নতা বিশ্বে ১ নম্বর ‘ডিজেজ বার্ডেন’ হিসেবে পরিগণিত হবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের কনভেনশন হলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ এর ফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের (৭ থেকে ১৭) অন্তর্ভুক্ত ছিল। নারী, পুরুষ, শহর ও গ্রাম এ চার ভাগে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। ৭ হাজার ২৭০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২ হাজার ২৪৬ শিশুর ওপর এ জরিপ চালানো হয়।

জরিপের ফল উপস্থাপন করেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম। তিনি জানান, দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ১৭ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আক্রান্তদের ৯২ ভাগ কোনও চিকিৎসা নেয় না। শিশুদের ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ শতাংশের মানসিক সমস্যা আছে। তাদের ৯৫ শতাংশ চিকিৎসা নেয় না।

২০০৩-২০০৫ সালে সর্বশেষ মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। ওই জরিপের তুলনায় বর্তমানে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান হয়।

জরিপের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে হবে বলে জানান জরিপের প্রধান সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এনায়েত হোসেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেন্টাল হেলথের জন্য আমরা পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও জনবল তৈরি করতে পারি নি। জরিপে সারাদেশের মানুষকে আনতে না পারা দুর্বলতা নয়, সীমাবদ্ধতা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোহিত কামাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা রেজওয়ানুল শামীম, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/এসএমএম

আরও পড়ুন