লকডাউনের তৃতীয় দিনে এসে নানা অজুহাতে পূর্ব রাজাবাজার থেকে মানুষের বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এলাকাবাসীর অজুহাতের কাছে অনেকটাই নমনীয় পুলিশ। অন্যদিকে এলাকার মানুষের অভিযোগ, নির্ধারিত ভ্যানে যে নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে তার দাম অনেক বেশি।
এমন অনুরোধের পর শেষ পর্যন্ত বের হলেন কঠোর লকডাউন এলাকা পূর্ব রাজাবাজার থেকে। তার মতো অনেকেই এসেছেন বের হওয়ার জন্য, জুড়ে দিচ্ছেন নানা অজুহাত।
এলকার এক বাসিন্দা বাইরে বের হওয়ার সময় জানান, তার মায়ের হার্টের সমস্যা, মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন।
এলাকার গলির ভেতরে ছিল সাধারণ মানুষের জটলা, কেউ কেউ সংগ্রহ করছেন নিত্যপণ্য। আবার কেউ বাইরে থেকে পণ্য কিনে ভেতরে প্রবেশ করছেন। নির্ধারিত বাজার থাকার পরও বাইরে কেন? এমন প্রশ্নের নেই কোনও উত্তর।
নিত্য আয় দিয়ে চলে যাদের সংসার এসব খেটে খাওয়া মানুষ পড়ছেন বিপাকে। তবে অনেকে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
পুলিশের কড়াকড়ি ছিল সবগুলো গেটেই। জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ছাড়া কাউকেই প্রবেশ এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না বলে দাবি পুলিশের।
দায়িত্বরত এক পুলিশ জানান, ডাক্তার-নার্স-সাংবাদিক ছাড়া কাউকে বের বা ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে খুব জরুরি প্রয়োজন যাদের তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়দের করোনা পরীক্ষায় রয়েছে আলাদা বুথ। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) পর্যন্ত ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৯ জুন রাত ১২টা থেকে পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়।
এসএমএম