• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ০২:০৭ পিএম

ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারের দাবি তুললেন মমতা

ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারের দাবি তুললেন মমতা
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করার মতো সংস্কারেরও দাবি তুললেন তৃণমূলনেত্রী।

 

লোকসভা নির্বাচনের আবহেই ইভিএম বাতিল করে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের দাবি জোরদার হয়। সেই দাবি আরো একবার খুঁচিয়ে তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করার মতো সংস্কারেরও দাবি তুললেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, “ভুলে যাবেন না আগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হত। কিন্তু এখন তারা তা বন্ধ করে দিয়েছে... তাহলে আমরা কেন ব্যালট পেপারে ফিরিয়ে আনতে পারি না?” রবিবার ২১ জুলাইয়ের “শহিদ স্মরণ”-এর মঞ্চ থেকে নির্বাচনী সংস্কারের দাবি জোরদার করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

শনিবার সংবাদিকদের তৃণমূলনেত্রী বলেন, “১৯৯৫ থেকে, নির্বাচনী সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। যদি আমরা নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে চাই, গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাই এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে চাই, তাহলে আপনাকে নির্বাচনী সংস্কার করতে হবে”। তাঁর অভিযোগ, ভোটের সময় কালো টাকার ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলি। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, লোকসভা নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “কয়েকজন বলছে, এর পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। জানতে চাই, কোথা থেকে এই সমস্ত টাকা এসেছে? কোনও দলই এত টাকা প্রত্যেক দল এত টাকা খরচ করতে পারে না। এটা দুর্নীতি। বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। এমনকী, আরটিজিএস করেও টাকা পাঠানো হয়েছে।” এর আগেও একাধিকবার নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। রবিবার ২১ জুলাইয়ের “শহিদ স্মরণ”-এর মঞ্চে ফের একবার সেই দাবি তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বাংলায় বিজেপির উথ্থানে চিন্তিত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কী কারণে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা। ফলে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার “শহিদ সমাবেশ”-এর মঞ্চ থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো সেই বার্তা দেবেন বলে মনে করছেন দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা।

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড

আরও পড়ুন