• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ১২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ১২:০৪ পিএম

ইবোলা ইস্যুতে বিশ্ব সংস্থার জরুরি অবস্থা জারি

ইবোলা ইস্যুতে বিশ্ব সংস্থার জরুরি অবস্থা জারি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি, কঙ্গো সরকারও কাজ করে যাচ্ছে ইবোলা প্রতিরোধে।

ইবোলা ভাইরাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক জরুরী অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২০১৬ সালের মহামারী শেষ হবার পর ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আবারো কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে হানা দেয় এই মরণব্যাধি রোগ। নতুন এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইবোলার বিরুদ্ধে মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক গবেষণা এবং সাহায্য আরো বেশি জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যগণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আদানম গ্যাব্রিয়েসাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পুরো বিশ্বের একত্রে নজরদারী করা এবং আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করে তোলার এটিই উপযুক্ত সময়। আমাদের প্রত্যেকের এর প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে, আমাদের একত্রে কাজ করা এখন সবার জন্যই কল্যাণকর।’

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নতুন করে ইবোলা সংক্রমণের পর থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ মানুষ ইবোলা আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে কঙ্গোর স্বাস্থ্য বিভাগ। এই সময়ে ইবোলায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ১৬৫০ জন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমান অবস্থাকে ২০০৯ সালের বার্ড ফ্লু মহামারী, ২০১৬ সালের জিকা ভাইরাস মহামারী এবং ২০১৪ সালের ২ বছরব্যাপী ইবোলা মহামারীর সঙ্গে একই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিগত ইবোলা মহামারীতে পশ্চিম আফ্রিকায় বিভিন্ন দেশে সবমিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।

ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক লরেন্স গস্টিন এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের এখনই কাজে নেমে পড়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এটি সারা বিশ্বের জন্যই একটি সতর্ক সংকেত’। তবে এখনই একে বৈশ্বিক সতর্কতার দিকে নিতে নারাজ ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখের গণস্বাস্থ্য এবং মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক রবার্ট স্টিফেন। ‘বর্তমান অবস্থা কেবল একটি আঞ্চলিক সতর্কতা, এবং যা কোনভাবেই বৈশ্বিক হুমকি নয়’। তবে তিনি এও যুক্ত করেন এই ব্যাপারে খুব দ্রুতই এ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সেই সঙ্গে কঙ্গো এবং তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ভ্রমণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ইস্যুও তিনি তার লিখিত বক্তব্যে পেশ করেন।

কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গা কালেঙ্গা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জরুরী অবস্থা গ্রহণ করলেও এর উদ্দেশ্য এবং দেশটির উপর এর প্রভাব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে এক লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকার আশা করে এই ঘোষণা কোনভাবেই কোন আন্তর্জাতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতে আসেনি, যারা কিনা মানবতার নামে বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে থাকে’।  

তথ্য সূত্র : ডব্লিউএইচও

 

আরও পড়ুন