• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৯, ০১:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০১৯, ০১:৩৮ পিএম

যুক্তরাজ্যে বৈধতা পাচ্ছেন বাংলাদেশিসহ লাখো অনথিভুক্ত অভিবাসী!

যুক্তরাজ্যে বৈধতা পাচ্ছেন বাংলাদেশিসহ লাখো অনথিভুক্ত অভিবাসী!
বাঁ থেকে- বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক এবং দ্য গার্ডিয়ানে অভিবাসন ইস্যুতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ- সূত্র: টুইটার

যুক্তরাজ্যে নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অধ্যয়ের সূচনাতেই লাখো অনথিভুক্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য সুসংবাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর  আশ্বাস মিলেছে সেখানে বসবাসের বৈধতা প্রাপ্তির। বৃহস্প‌তিবার (২৫ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হকের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশ্বাসের কথাই জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যের টুইটার পেজে 'মাইগ্রেন্ট ভয়েজ' নামক একটি সংস্থার অফিশিয়াল টুইটার পেজের বরাতে প্রকাশিত এক ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য মতে, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের প্রসঙ্গে বরিস জানিয়েছেন, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বৈধতার প্রসঙ্গে তার সরকার নৈতিকভাবে আন্তরিক। প্রসঙ্গত, লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন দেশটিতে বসবাসকারী প্রায় ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে তৎকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মাইগ্রেন্ট ভয়েজ সংস্থার অফিশিয়াল লোগো- ছবি: টুইটার

গত বুধবার (২৪ জুলাই) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উদ্দেশ্যে এমপি রুপা হক বলেন, ‘এখন তো আপ‌নি প্রধানমন্ত্রী, এখন কি অনথিভুক্তদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে আপনি প্রমাণ করবেন যে আপনার কথার সঙ্গে আপনার কাজের মিল রয়েছে?’

তার এই প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন,  'এটা সত্যি। আমি সরকারে থাকাবস্থায় বিষয়টি কয়েকবার উত্থাপন করেছি। তবে বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাইনি।' তিনি আরও বলেন, 'ব্রিটেনে বসবাসরত অনথিভুক্ত প্রায় পাচঁ লাখ মানুষকে এদেশ থেকে বের করে দিতে চায় সরকার। তবে তাদের বিষয়টি দেখা উচিত। আর এই বিষয়‌টিতে সরকার নীতিগতভাবে আন্তরিক'।

নব নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন- ফাইল ফটো

বরিস তার বক্তব্যে বলেন, 'এক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক সুবিধা ও অসুবিধার দিকটি বিবেচনায় নেয়া হবে। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এসকল অভিবাসীদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাস করছেন, কাজ করছেন এবং যথাযথভাবে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আসছেন তাদের অবশ্যই ভাল কিছু পাওয়া উচিত। নথিভুক্ত না হওয়ার কারণে তারা যদি সঠিকভাবে কর দিতে অপারগ হয়ে থাকেন এবং যথাযথ নীতি মেনে চলেও সুবিধাভোগে বঞ্চিত হয়ে থাকেন তবে তাদের ক্ষেত্রে বৈধতা প্রদানের বিষয়টি আন্তরিকভাবে বিবেচনা করবে সরকার। আমি তার (রুপা হক) প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে চাই। হ্যাঁ, আমি মনে করি, তা‌দের বিষয়টি দেখা উচিত। সত্যি বলতে আইন এরইমধ্যে তাদের থাকার অধিকার দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাঝে আগেও আলোচনা হয়েছে।'

সর্বশেষ ২০১০ সালে ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির তৎকালীন প্রধান নিক ক্লেগ দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের বিভিন্ন শর্তের মাধ্যমে বৈধতা প্রদানের প্রস্তাব করেছিলেন, যার নাম ছিলো ‘রুট টু সিটিজেনশিপ’। সেই প্রস্তাবের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো ছিল, আবেদনকারীকে যুক্তরাজ্যে অন্তত ১০ বছর বসবাসের প্রমাণ থাকতে হবে এবং কোন অপরাধের রেকর্ড থাকা যাবে না। আবেদনকারীকে অবশ্যই মাতৃভাষায় (ইংরেজি ভাষা) পারদর্শী হতে হবে। এছাড়া তাকে একটি নির্ধারিত পদ্বতিতে নাগরিকত্ব অর্জনের নীতিমালা প্রদান করা হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটা পূরণ করতে হবে।

এসকে

আরও পড়ুন