• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৫:০৭ পিএম

সু চি‍‍’র মতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি‍‍ : সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সু চি‍‍’র মতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি‍‍ : সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
২০১২ সালে প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিয়ানমার সফরে যান তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন- ছবি: ইন্টারনেট

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ব্যাপক নির্যাতনের মুখে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন বার্মিজ নয়, তারা বরং বাংলাদেশি। এমনটাই দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী দেশটির সেনা সমর্থিত নেত্রী অং সান ‍সু চি। নিজের লেখা আত্মজীবনীতে এমন তথ্যই উল্লেখ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

...........................................................................................

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে তিনি যখন লন্ডন সফরে আসেন, তখন সবার চোখ ছিল রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর। কেননা সে সময় রাখাইনের বৌদ্ধরা তাদের নিজ বাসস্থান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। এমনকি ধর্ষণ, হত্যা, জাতিগত নিধনসহ অনেক কিছুর কথাই আমরা শুনেত পাচ্ছিলাম।

...........................................................................................

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজেদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জার্মানভিত্তিক বার্তা সংস্থা 'ডয়েচ ভেলে' জানায়, ২০১৩ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে সু চি এ মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি নিজের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা 'ফর দ্য রেকর্ড' বইয়ে ক্যামেরন নিজে বিষয়টি উল্লেখ করেন।

সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর ২০১২ সালে প্রথম কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটি সফরে যান ক্যামেরন। মূলত এর পরই দেশটির অবস্থা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইস্যুতে সু চির মন্তব্য নিজের স্মৃতিকথায় বিরক্তি হিসেবে প্রকাশ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

'ফর দ্য রেকর্ড' বইয়ে ক্যামেরন লিখেছেন, 'আমি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তখন তিনি শিগগিরই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে সত্যিকার গণতন্ত্রের পথে যাত্রা, তার সেই দারুণ গল্প নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।'

ক্যামেরন তার বইয়ে লিখেন, '২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে তিনি যখন লন্ডন সফরে আসেন, তখন সবার চোখ ছিল রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর। কেননা সে সময় রাখাইনের বৌদ্ধরা তাদের নিজ বাসস্থান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। এমনকি ধর্ষণ, হত্যা, জাতিগত নিধনসহ অনেক কিছুর কথাই আমরা শুনেত পাচ্ছিলাম।'

...........................................................................................

'আমি তাকে বললাম, বিশ্ব সব কিছুই দেখছে। জবাবে তিনি বললেন, তারা আসলে বার্মিজ নয়। বরং বাংলাদেশি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি দেশের রাষ্ট্রীয় নেতা হলেন; যার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকল'

...........................................................................................

সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'আমি তাকে বললাম, বিশ্ব সব কিছুই দেখছে। জবাবে তিনি বললেন, তারা আসলে বার্মিজ নয়। বরং বাংলাদেশি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি দেশের রাষ্ট্রীয় নেতা হলেন; যার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকল।'

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্ন হামলা হয়। মূলত এর জেরে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী দমনের নামে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামো বদ্ধ সহিংসতা জোরালো অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

এ সময় হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো বেসামরিক পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। বর্তমানে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

এসকে

আরও পড়ুন