২০১৯ সালের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হচ্ছে আজ (৭ অক্টোবর) থেকে। এ বছর উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বের সর্বোচ্চ এই সম্মাননা পুরস্কারের জন্য মোট ২২৩ জন ব্যক্তিত্ব এবং ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

নির্ধারিত সূচি অনুসারে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর মাধ্যমে মূল কমিটির পক্ষ থেকে ক্রমান্বয়ে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। সে অনুসারে সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায় স্টকহোম ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসাবিদ্যায়, পরদিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টায় দ্য রয়াল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স থেকে পদার্থবিদ্যায়, বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টায় রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স থেকে রসায়নবিদ্যায়, যথাক্রমে পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় দ্য রয়াল সুইডিশ একাডেমি থেকে সাহিত্য এবং সর্বশেষ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।

আগামী সপ্তাহের সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টায় রয়াল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সে ঘোষণা করা হবে দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের দেয়া বিকল্প নোবেল পুরস্কারে ভূষিত অর্থনীতির বিজয়ীর নাম।

প্রতিবারের মতো অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী ‘সাহিত্যে’ নোবেল পুরস্কার ঘোষণার দিনক্ষণ সাধারণত আগে থেকে জানানো হয় না। তবে এবার সাহিত্য পুরস্কারের ঘোষণার তারিখটিও এরইমধ্যে জানানো হয়েছে, যা নোবেল পুরস্কার প্রদানের ইতিহাসে প্রথম।

গত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল সুইডিশ একাডেমি। পরবর্তীতে যার পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, ‘মাত্রাতিরিক্ত দুর্বল একাডেমি এবং বহির্বিশ্বে একাডেমি অতিমাত্রায় বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর কারণে নোবেল কমিটি সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাছাইয়ের কাজ অনেক দূর এগোলেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি আর দেওয়া হয়নি। যে কারণে চলতি বছর একই সঙ্গে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের সাহিত্যে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

প্রধানত রসায়নবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, শান্তি ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান এবং কৃতিত্বের জন্য নোবেল ফাউন্ডেশন সুইডেন এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। আলফ্রেড নোবেলের উইলে এই পুরস্কারগুলোর কথা উল্লেখ থাকলেও তখন অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি বলা হয়নি।

১৯৬৮ সালে দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের বিশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থনীতিতে পুরস্কারটি প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। যেহেতু অর্থনীতির পুরস্কারটি নোবেলের অন্যান্য পুরস্কারের মতো প্রায় একই সময়ে ঘোষণা ও প্রদান করা হয়। তাছাড়া এর আর্থিক পরিমাণও অন্য পুরস্কারগুলোর মতোই সমান; বর্তমানে তাই এটি নোবেল পুরস্কারের মতোই সম্মানজনক।

এসকে/একেএস