• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম

বিক্ষোভে উত্তাল ইকুয়েডর, সেনা মোতায়েনে কারফিউ জোরদার

বিক্ষোভে উত্তাল ইকুয়েডর, সেনা মোতায়েনে কারফিউ জোরদার

দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ ইকুয়েডরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে। অপর দিকে এই বিক্ষোভ দমনে রাজধানী কুইটো থেকে সকল সরকারি কার্যক্রম প্রত্যাহারের পর, শহরটিতে জারিকৃত কারফিউ জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। যার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভের দশম দিনে রাজধানীতে সেনা মোতায়েনও করা হয়। 

রোববার (১৩ অক্টোবর) ইকুয়েডরের স্থানীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, শনিবার (১২ অক্টোবর) এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট লেনিন দাবি করেন, রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় চলমান সহিংসতা অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে কারফিউ, বিক্ষোভ দমনে মাঠে নেমেছে অশ্বারোহী দাঙ্গা পুলিশ- সূত্র: রয়টার্স

সম্প্রতি ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গোটা দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যে সরকারি ভর্তুকি বাতিলের ঘোষণা দিলে আচমকা ধর্মঘটের ডাক দেয় ইকুয়েডরের ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন। যদিও পরবর্তী সময়ে সেই আন্দোলন বাতিল হলেও এখনো অব্যাহত আছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। 

এদিকে দেশটির বিভিন্নস্থানে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক বন্ধ করে এরই মধ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এসব আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫ বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি হয়েছে। আর উদ্ভূত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় টানা দুই মাসের জন্য গোটা দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো।

এর আগে শনিবার এই কারফিউ জারির কিছুক্ষণ আগেই আচমকা প্রেসিডেন্ট লেনিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হন বিক্ষোভরত আদিবাসী নেতারা। কনফেডারেশন অব ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিটিস অব ইকুয়েডর (কোনাই) এক টুইট বার্তায় জানায়, তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে সম্মত আছেন। যদিও এর আগে বারংবার তারা প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।

অপরদিকে বিক্ষোভরত আদিবাসীদের সেই বিবৃতি প্রকাশের পর কুইটোর মেয়র জর্জ মাচাদো স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘দেশে তেলের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি সরকার সম্পূর্ণই আইনগতভাবে পর্যালোচনা করবে।’

যদিও আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে সরকারের কোনো ঐক্যমত হলে; তাতে এই বিক্ষোভ শেষ হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এসকে

আরও পড়ুন