• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০১:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

আগামী বছর ভারতজুড়ে নতুন জনসংখ্যা জরিপ

আগামী বছর ভারতজুড়ে নতুন জনসংখ্যা জরিপ

ভারতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অব্যাহত বিক্ষোভের মধ্যেই, নতুন করে একটি আদমশুমারি ও জনসংখ্যা জরিপের জন্য তহবিল অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা বিবিসি বাংলা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে জানা যায়, দেশটিতে আগামী বছরই এই জনসংখ্যা জরিপ বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) কার্যকর হবে ভারতের মন্ত্রিসভা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই জরিপ চালানোর সময় কোন নাগরিকের নাগরিকত্ব সম্পর্কে যদি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ সৃষ্টি হয় তবে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ভারতের নাগরিক।

ভারতে নতুন নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ- ছবি সংগৃহিত

এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এই জরিপ ভারতের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের ওপর চালানো হবে।  তবে, সমালোচকেরা বলছেন, তালিকাটি হবে মুসলমান বিরোধী তালিকা।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জনসংখ্যা জরিপ চালানো হতে পারে। এজন্য সরকার প্রায় চার হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। এছাড়া আরো প্রায় নয় হাজার কোটি রুপি ব্যয় হবে আদমশুমারি চালানোর জন্য।

এ প্রসঙ্গে ভারতের একজন মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদাকার বলেছেন নতুন ডেটাবেইস সরকারকে নতুন নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে। আর দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ, অর্থাৎ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল রাজ্যের সব সাধারণ বাসিন্দার ওপর একযোগে এই জরিপ চালানো হবে।

সরকার বলছে, কোন নাগরিক যদি কোন এলাকায় অন্তত ছয় মাস বাস করে অথবা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় ছয় মাস বা তার বেশি সময় বসবাসের পরিকল্পনা করে, তাহলে তাকে সাধারণ বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে। এর মানে হচ্ছে এখন ভারতে বসবাসরত বিদেশীরাও এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অন্তর্ভুক্ত হবেন। কিন্তু জরিপ চালানোর সময় কোন নাগরিক সম্পর্কে যদি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়, তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ভারতের নাগরিক। এর ফলে যে কোন নাগরিকের অ-ভারতীয় হিসেবে হেনস্থা হবার আশংকা থেকে যায় বলে মনে করেন সমালোচকেরা।

সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত এনআরসি ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো ভারতজুড়ে। এই পরিস্থিতির মাঝে নতুন জনসংখ্যা জরিপের পদক্ষেপ কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না সে বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসকে

আরও পড়ুন