• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০১:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৮, ২০২০, ০১:৫৮ পিএম

২২ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত মার্কিন ঘাঁটি, নিহত ৮০ সেনা

২২ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত মার্কিন ঘাঁটি, নিহত ৮০ সেনা

শেষ পর্যন্ত প্রতিশোধের আগুন উগলে দিতে শুরুই করেছে ইরান। যার অংশ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে  শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটি। এই হামলায় মোট ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পার্স টুডে

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ইরানের ২২ ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত হয়েছে মার্কিন দুই ঘাঁটি। যদিও এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরানের ২২ ক্ষেপণাস্ত্রেই বিধ্বস্ত মার্কিন দুটি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৮০ সেনা নিহত হয়েছে। অবশ্য ওই সব প্রতিবেদনে আহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আইন আল আসাদ ও এরবিল ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ইরান। এ সময় কেঁপে উঠে আশেপাশের অঞ্চল।

হামলা সম্পর্কে ইরাক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইন আল আসাদ ঘাঁটিতে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। আর ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় ইরাকের এরবিল শহরে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হেডকোয়ার্টারে। এতে ইরাকি কোনো সেনা হতাহত হয়নি। তবে অন্য কোনো সেনা হতাহত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করেনি ইরাক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ফোর্সের মালিক ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলও সেটা স্বীকার করে। তারপরও মার্কিন ঘাঁটিতে তুলনামূলক ‘কম’ ক্ষেপণাস্ত্রই ছুড়েছে তেহরান।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এলিট শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।

সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। অবশেষে সেই কাজ করল তারা।
এসকে

আরও পড়ুন