• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম

যেভাবে ২০২১ সালকে বরণ করলো বিশ্ব

যেভাবে ২০২১ সালকে বরণ করলো বিশ্ব

মহামারীর কারণে উৎসব আর জনসমাগমে ভাটা পড়লেও এবছর বর্ষবরণে জাঁকজমকের কমতি ছিল না। দেশে দেশে আলোকসজ্জা, আতশবাজি, লেজার শো, আর মিউজিক ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে ঘটা করেই পালন হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার থেকে শুরু করে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা পর্যন্ত রাতভর ছিল চোখ ধাঁধানো নানা আয়োজন। বিবিসি আর টেলিগ্রাফসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে অনেক দেশে ঘরে বসেই নববর্ষের উৎসব উপভোগ করেছেন সবাই।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলে নতুন বছর এসেছে সবার আগে। করোনার সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় লকডাউনের কড়াকড়ি ছিল না এসব দেশে। তাই সিডনি আর অকল্যান্ডে আলোক উৎসব আর কনসার্টে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

চীন

মহামারীতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উহানসহ অনেক প্রদেশে ফানুশ উড়ানো হয়। তবে কোথাও উৎসবের আমেজ ছিল না। বিভিন্ন শহরে আতশবাজি হলেও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

জাপান

জাপানে নতুন বছর উদযাপনের প্রধান উৎসবটি মহামারীর কারণে বন্ধ রাখা হয়। প্রতি বছর রাজ পরিবার জনগণকে শুভেচ্ছা জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও এবার সামাজিক দূরত্ব বজার রাখেন তাঁরাও। কেবল আলোকসজ্জা আর সীমিত পরিসরের আয়োজনে সন্তুষ্ট থাকতে হয় জাপানীদের।

দক্ষিণ কোরিয়া

কোরিয়া যুদ্ধের অবসানের পর ১৯৫৩ সাল থেকেই নববর্ষ উদযাপনে দেশব্যাপী উৎসবের আয়োজন হয় দক্ষিণ কোরিয়াতে। তবে ব্যতিক্রম ছিল এবারের নববর্ষ। ঘরে বসেই টিভিতে আতশবাজি আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সবাই।

দক্ষিণ এশিয়া

বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আতশবাজি আর গানবাজনা বন্ধ রাখা যায়নি। রাজধানীসহ বড় শহরে কনসার্ট না হলেও রাতভর বাসবাড়ির ছাদে নববর্ষ উদযাপন করেন স্থানীয়রা। হোটেলগুলোতেও সীমিত আকারে নববর্ষের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র

বেশিরভাগ রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ রোধে জনসমাগম নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারপরেও সামাজিক দূরত্ব মেনে নতুন বছর বরণে মিউজিক শো আর আতশবাজির আয়োজন হয়। সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে।

ইউরোপ

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয় ফ্রান্স ও ইতালিতে। রাস্তাঘাটে জনসমাগম বন্ধে পুলিশ মতায়েনের সঙ্গে রাতভর কার্ফিউ জারি হয় কোথাও কোথাও। প্রতিবার প্যারিসে সবচেয়ে বড় নববর্ষের উৎসব হলেও এবার সব আয়োজন বন্ধ রাখা হয়। তবে লকডাউন আর পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কোথাও কোথাও আতশবাজির মাধ্যমে নববর্ষ বরণ করেন স্থানীয়রা। এদিকে জার্মানিতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন জারির সঙ্গে আতশবাজি বিক্রির উপরেও ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে জনসমাগম বন্ধ থাকলেও বর্ণীল আতশবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে বরণ করা হয় ২০২১ সালকে।

মধ্যপ্রাচ্য

নতুন বছরের উদযাপনে জনসমাগম বন্ধে লকডাউন দেয় তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে বরাবরের মতো লেজার শো আর আতশবাজিতে বাজিমাত করেছে দুবাই।

 

আরও পড়ুন