• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০৪:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম

কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ

অবরোধ ঠেকাতে দিল্লিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

অবরোধ ঠেকাতে দিল্লিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

ভারতের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে দিল্লির যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিরাপত্তা শঙ্কায় রাজধানীতে জারি হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। এদিকে দাবী না মানলে উত্তর প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডেও অবরোধ ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষকরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির 

দুপুরে কৃষকদের তিন ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় দিল্লিতে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে সহিংসতা দমনে ৫০ হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও অস্থিরতা রোধে বন্ধ রাখা হয়েছে অন্তত ৮টি রেল স্টেশন। শনিবার দিল্লির ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে আর হরিয়ানার পালাওল হাইওয়েতে অবরোধ শুরু পর রাজধানীর একাংশ অচল হয়ে পড়ে। এদিকে ব্যাঙ্গালুরু বিক্ষোভ থেকে ৩০ জনকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচী শেষে এক ভাষণে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে দিরবে না কৃষকরা।”

ধর্মঘটের মাঝে অ্যাম্বুলেন্স আর জরুরি যানবাহন চলাচলের সুযোগ থাকলেও বন্ধ আছে বিভিন্ন এলাকার সংযোগ সড়ক। পাঞ্জাব হরিয়ানা সীমান্তে অবরোধের কারণে বাইরের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু অঞ্চল। ভারতী কিষাণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোক্রিকালন জানান, দেশের ৩৩টি অঞ্চলে ১৫টি জেলায় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা। 

গত বছর সেপ্টেম্বরে বিজেপি সরকার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন কৃষি আইন জারি করার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করে কৃষকরা। প্রস্তাবিত কৃষি আইনে কৃষকরা স্বাধীনভাবে চাষাবাদ করতে পারবে না, এমন আশঙ্কা থেকেই দিল্লিতে ডাকা হয় ‘ভারত বনধ’ আন্দোলন। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও, আইন বাতিল না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। কয়েক মাস ধরে চলমান আন্দোলন প্রজাতন্ত্র দিবসে আরো জোরদার হয়েছে।

আরও পড়ুন