• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০২:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০৩:৩১ পিএম

এ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না : আকমল হোসেন

এ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না : আকমল হোসেন

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের পর হামলা চালায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের  অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আকমল হোসেনের সঙ্গে।

জাগরণ : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাল ট্রাম্পের সমর্থকরা। এতে হতাহত হলো অনেকে। দেশটির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এটা কি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য একটি চরম আঘাত?

আকমল হোসেন : আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি  ভাবমূর্তি আছে। দেশটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেখানে ভোটাধিকার আছে, মানুষের কথা বলার অধিকার আছে। ঠিক সেখানেই এই ধরনের হামলা, দেশটির ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না। ঘটনার সূত্রপাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গিয়েও স্বীকার করছেন না। ফলে এক অর্থে বলা যায়, তিনি তার সমর্থকদের লেলিয়ে দিয়েছেন। যেভাবেই হোক তিনি নির্বাচনের ফলাফল মানবেন না। এটাই সংকটের কারণ। 

জাগরণ : এ ঘটনায় বিশ্বনেতারা নিন্দা জানাচ্ছেন। হামলাকে কলঙ্কজনক হিসেবে বিশ্লেষণ করছেন। আপনার অভিমত কী? 

হোসেন : এ ধরনের ঘটনা আমরা পৃথিবীর অন্য অঞ্চলে দেখতে পাই। কিন্তু আমেরিকায় কখনো দেখিনি। ফলে এটা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিশ্চয়ই একটি বড় কলঙ্ক হিসেবে বিবেচিত হবে।

জাগরণ : সারা বিশ্বেই গণতন্ত্রের যে সংকট, সেটার প্রকাশই কি যুক্তরাষ্ট্রে এমনটা ঘটেছে বলে আপনি মনে করেন?

হোসেন : স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। এ ধরনের স্বৈরতন্ত্র জনগণের মতামতের কোনো মূল্য দেয় না। তারই একধরনের সম্প্রসারণ ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র যদিও চার বছর পরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে এবং যিনি হেরে যান, তিনি জয়ী ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা দিয়ে চলে যান। তবে এবার তা হচ্ছে না। তার মানে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো অর্থেই গণতান্ত্রিক ব্যক্তি নন।

জাগরণ : ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণ শুনতে চাই। কী করতে যাচ্ছেন তিনি?
হোসেন :
চার বছর আগে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনই আমি অবাক হয়েছিলাম। এক অর্থে তিনি রাজনীতিতে নবাগত। কেবল অর্থের জোরে তিনি নির্বাচিত হয়ে গেলেন। এ ধরনের একটা সংকট আমরা পৃথিবীজুড়েই দেখে আসছি। যেখানে কথা বলার অধিকার থাকে না বা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা থাকে, সেখানে এমনটা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তবে তিনি মিথ্যা দিয়ে জয় প্রতিষ্ঠা কারার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেখানে তিনি বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।