• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম

দম্পতিকে গাছে বেঁধে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ  

দম্পতিকে গাছে বেঁধে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ  

পাবনা সদর উপজেলা দোগাছি ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক দম্পতিকে গাছের সাথে বেঁধে মাথার চুল কেটে, সিগারেটের আগুনের ছেঁকা দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। 

আহত দম্পতি সখিনা খাতুন (৩৫) ও তার স্বামী জিলাল প্রামানিককে (৪৫) ঘটনার রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

নির্যাতনের শিকার ওই দম্পতির মেয়ে কাজলী খাতুন জানান, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ৬/৭ জনের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাড়িতে এসে মা ও বাবাকে উঠিয়ে নারিকেলের গাছের সাথে বেঁধে মারপিট শুরু করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা আমার মায়ের মাথার চুল কেঁচি দিয়ে কেটে দেয়। সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁকা দেয়। যাবার সময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন সখিনা খাতুন জানান, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার শাহজাহান ও তার সহযোগীরা তারই বাড়ির ২৩ শতাংশ জমির দলিল জাল করে দখলের পাঁয়তারা করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মামলা চলে আসছে। সখিনা খাতুন বলেন, ওই মামলায় শাহজাহান আলী, মারুফ হোসেন, বকুল হোসেন ও জনিকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি, বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা করে আসছে। 

চিকিৎসাধীন জিলাল প্রামানিক বলেন, আমি কেঁচি কারখানায় কাজ করি। আমার সামান্য জমির কাগজ জাল করে দখলের অপচেষ্টা করেছে জামায়াতের শাহজাহান ও তার লোকজন। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। 

দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলী হাসানের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহম্মেদ বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে পুলিশের এক অফিসারকে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন