• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:০৮ পিএম

মারাত্মক ভুল করেছেন নড়াইলের জেলা জজ : হাইকোর্ট

মারাত্মক ভুল করেছেন নড়াইলের জেলা জজ : হাইকোর্ট

নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ মারাত্মক ভুল করেছেন বলে এক রায়ে উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে আজ। রায়ে সব ধরনের ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ থেকে তাকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।    
 
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

শেখ আব্দুল আহাদকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে গত ২৯ আগস্ট এ রায় দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগ গঠন করায় এ আদেশ দেন আদালত।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘চার্জ গঠন পর্যায়ে প্রধান আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ মারাত্মক ভুল করেছেন, যা বেআইনি এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’

পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ‘শেখ আব্দুল আহাদকে আগামী এক বছরের জন্য দায়রা মামলা পরিচালনা থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন; যাতে এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞ বিচারক দায়রা মামলা পরিচালনার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন।’

ওই বিচারকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ৭ জুলাই এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। নড়াইলের কালিয়ার এনামুল হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করায় নড়াইলের এই জেলা ও দায়রা জজের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না, রুলে তা জানতে চান আদালত।

একইসঙ্গে প্রধান আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ওই বিচারকের আদেশটি স্থগিত করে আসামিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।

কালিয়ার চণ্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যুবক এনামুলকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল কালিয়া থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ প্রধান আসামি মাঝাকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নাজমুল হুদা, যার শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। গত ২৯ আগস্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।

এমএ/ এফসি

আরও পড়ুন