• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৮:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৮:৪৬ পিএম

মেননের ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা জানতে চাওয়া নোটিশ ফেরত

মেননের ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা জানতে চাওয়া নোটিশ ফেরত
রাশেদ খান মেনন -ফাইল ছবি

ক্যাসিনো জুয়ার সঙ্গে সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জড়িত কি না- তা জানতে চেয়ে পাঠানো আইনি নোটিশ আইনজীবীর কাছে ফেরত এসেছে। বুধবার (২ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই তথ্য জানান। 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো ইস্যুতে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, পর্যটনসচিব মহিবুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কার্স পার্টি বাংলাদেশ ৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায় চিঠিটি যায়। গতকাল (১ অক্টোবর) চিঠিটি আইনজীবীর কাছে ফেরত আসে।

আইনজীবী বলেন, সংসদ সদস্য মেননকে পাঠানো নোটিশ গ্রহণ না করায় তা আবার আমার কাছে ফেরত এসেছে। রেজিস্ট্রি ও ডাকযোগে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের খামের ওপর লেখা রয়েছে ‘প্রাপক গ্রহণ না করায় ফেরত’।

তিনি জানান, নোটিশ গ্রহণ না করায় মেননের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন। নোটিশটি গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রিট করা হবে।

আইনজীবী আরও বলেন, রাজধানীর ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়াম্যান রাশেদ খান মেনন। ক্লাবের অনেকের মতো তিনিও ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত কি না তা জানার জন্য তাকে নোটিশ পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, ওই ক্লাবের কারও কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। সেজন্য এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। ফলে সারাদেশে জুয়া, ক্যাসিনো প্রভাব বিস্তার করেছে। সেজন্য অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে, মানিলন্ডারিং হচ্ছে। সাম্প্রতিক সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কিছু কিছু সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু যারা গডফাদার তাদের গ্রেফতার করছে না।

তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন। তার ছবি সেই চেয়ারম্যান কক্ষে আছে। তারপরও তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গতকাল মিডিয়ায় দেখেছি, পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব বলেছেন, বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এ বক্তব্য অসাংবিধানিক।

একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এগুলো বন্ধ হলে ক্লাব কিভাবে চলবে, অবৈধভাবে উপার্জন করেই কি ক্লাব চলবে, প্রশ্ন তোলেন এই আইনজীবী।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন