• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

আজহারের পূর্ণাঙ্গ রায় শিগগিরই : অ্যাটর্নি জেনারেল

আজহারের পূর্ণাঙ্গ রায় শিগগিরই : অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম- ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা রায় শিগগিরই প্রকাশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম এই আশা ব্যক্ত করেন।   
 
গণমাধ্যমকে নিজ কার্যালয়ে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা হলে আমরা এর মোকাবিলা করবো।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, যেসব অভিযোগে আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এসব ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না- এ প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, তারা একাত্তরে কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এমন কথা ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ড পাওয়ার পর সব আসামির আইনজীবীরাই বলেছিলেন।

আজহারের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রায় বহাল রাখা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বিস্তারিত বোঝা যাবে। আমরা রায় হাতে পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করবো।

এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগ আনা হয় প্রসিকিউশন থেকে। ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

আর ৫ নম্বর অভিযোগে ধর্ষণের অপরাধে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয় তাকে। এছাড়া এক নম্বর অভিযোগ প্রমাণ পায়নি বলে তাকে কোনো দণ্ড দেয়া হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

রংপুরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করেই এ টি এম আজহার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি রায়ের ব্যাখ্যায় বলেন, মৃত্যুদণ্ডের তিন অভিযোগ আপিলের রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে বহাল আছে। অভিযোগগুলো হলো- ২, ৩ ও ৪। ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস এবং ৬ নম্বর অভিযোগের ৫ বছরের সাজা বহাল আছে।

এমএ/টিএফ 
 

আরও পড়ুন