• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:০২ পিএম

শ্রুতিলেখক পাচ্ছেন না দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ

শ্রুতিলেখক পাচ্ছেন না দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ
সুদীপ চন্দ্র দাস

অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজিএস) পরীক্ষাসহ (নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত) সব ধরনের পরীক্ষায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রুতিলেখক চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদন কার্যতালিকা (কজলস্ট) থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আগামীকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হতে যাওয়া ১৩তম পরীক্ষায় শ্রুতিলেখকের সুবিধা পাচ্ছেন না রিটকারী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ চন্দ্র দাস।

গণমাধ্যমকে রিটকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, এই আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি বাদ দিয়ে আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে, ৫ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাসের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে।

রিট আবেদনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এর ১৬ (ঝ) অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংরক্ষিত অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অনুষ্ঠেয় ১৩তম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা অথবা সব ধরনের পরীক্ষায় আবেদনকারীকে শ্রুতিলেখক দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়। রিটে বিবাদী করা হয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সুপ্রিম কার্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন সচিব ও সমাজ কল্যাণ সচিব।

রিটকারী আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ডিগ্রি নেয়া সুদীপ দাস এর আগেও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১১ ও ১২তম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন। তবে ২০১৭ সালে শ্রুতিলেখকের সুযোগ না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেননি। ২০১৮ সালে আবেদন করে শ্রুতিলেখক না পেলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাদা কাগজ জমা দিয়ে এসেছিলেন।

গণমাধ্যমকে সুদীপ চন্দ্র দাস বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শ্রুতিলেখক দেয়া হয়। কিন্তু বিজেএসসির পরীক্ষায় তা দেয়া হচ্ছে না। অথচ বিভিন্ন দেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিচারক রয়েছেন। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রেও আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সহকারী জজ হওয়ার ইচ্ছা থেকে এ চেষ্টা করছি। তারপরও আমি যদি এই সুযোগ নাও পাই, আমার অনুজরা এ সুযোগ পাবে বলে আশা করছি।

২০০৭ সালে সুদীপ দাস এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন সুদীপ। পরবর্তীতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।

এমএ/একেএস

আরও পড়ুন