• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৫, ২০১৯, ০৭:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৬, ২০১৯, ০১:২০ এএম

এই গরমে রোজায় হালকা খাবার গ্রহণ করুন

এই গরমে রোজায় হালকা খাবার গ্রহণ করুন

আমাদের দেশের খুব প্রচলিত একটি ব্যাপার হচ্ছে ইফতারে প্রচুর ভাজাপোড়া খাওয়া। সারাদিন রোজা রাখার পর যেটা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। ইফতারের জন্য তৈরি খাবারে যত কম তেল ও মশলা ব্যবহার করা যায় তত ভালো। এছাড়া প্রচলিত খাবারের বাইরে কিছু মজাদার কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যেমন দই-চিড়া, ইফতারিতে দই-চিড়া পেট ঠাণ্ডা রাখে, দ্রুত এবং সহজে হজমে সাহায্য করে। চিড়ায় রয়েছে এসিডিটি কমানোর ক্ষমতা, দই খুব সহজেই পরিপাক হয়। মাঝে মধ্যে ফিরনি অথবা দুধে ভিজানো চিড়া, সঙ্গে হালকা চিনি ও পাকা আমের টুকরো ইফতারে বৈচিত্র্য আনতে পারে।

ইফতার ও সেহেরীতে আঁশযুক্ত খাবার রাখা উচিত। আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে দেরি হয়,তাই ক্ষুধা কম লাগে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুব দরকার। যেমন ঢেঁকি ছাটা চাল, সবুজ মটরশুঁটি, ছোলা, সবুজ শাক যেমন ডাঁটাশাক, পালং শাক, খোসাসহ ভক্ষণ উপযোগী ফল যেমন পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এবং শুকনা ফল খোরমা, খেজুর ইত্যাদি ।

ইফতারিতে বেশি করে ফল খাওয়া উচিত। ফলে বিভিন্ন খনিজ বিদ্যমান থাকে তাছাড়াও থাকে ভিটামিন ও ফাইবার ইত্যাদি। তাই এই রমজানে ইফতার ও সেহেরীতে একটি হলেও ফল রাখা খুব জরুরী। সেহেরীতে বেশি তেল চর্বির খাবার বর্জন করলে শরীরের স্বাচ্ছন্দ্যের কারণ হবে ও আরাম বোধ হবে। এসময় মাংসের পরিমাণটা কম করে, মাছ ও শাক-সবজিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

এ ভাবে সংযমের মাসে খাদ্যাভ্যাসে সংযমী হই এবং সুস্থ সুন্দরভাবে রমজানের সকল ইবাদত পালন করি। ইফতার ও সেহেরীর জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর উপকরণগুলো পাবেন খাসফুড অনলাইন শপে । আমরা ন্যায্য মূল্যে বাজারের সেরা পণ্যটি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর।