• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম

ঈদের দিন সকালে যেমন খাবেন

ঈদের দিন সকালে যেমন খাবেন

ঈদ মানেই খুশি। আর কোরবানি ঈদ মানে ট্রিপল খুশি। মাংসের নানাপদ, সেমাই,পায়েশ, বিরিয়ানি, কাবাব, জর্দা প্রভৃতি খাবারের আয়োজনে ঈদ আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে যায়। সেইসাথে, ঈদের দিন বেড়ে যায় কাজের চাপ। অনেক সময় ব্যস্ততার চাপে ঠিকভাবে সারাদিন খাওয়া হয়না। ফলশ্রুতিতে,ঈদের দিন অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশেষ করে যেসব মহিলারা লো ব্লাড প্রেসার এবং এনিমিয়াতে ভুগছেন তাদের অসুস্থ হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেজন্য ঈদের দিন সকালে কিভাবে খাবেন বা কি করবেন সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হল।আশাকরি,সবাই সুস্থ ভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

ভালভাবে সকালের নাস্তা করুন

যারা,নিজেদের নামে কোরবানি দিচ্ছেন তারা কোরবানি শেষ করে,ভালভাবে নাস্তা করে নিন।যথাসম্ভব,সহজ পাচ্য খাবার দিয়ে নাস্তা করুন।ঈদের দিন সকালে,একবাটি চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ সাথে একটা রুটি অথবা এক প্লেট পাতলা খিচুড়ি খেতে পারেন।এই ধরনের খাবার যেমন সহজপাচ্য তেমনি পুষ্টিকর।আর,এমন খাবার খেলে এনার্জি ও পাবেন।যেহেতু,প্রচন্ড গরম তাই সকাল বেলায় ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।

খালি পেটে দুধের তৈরি জিনিস না খাওয়া উচিত


 
ভালভাবে,নাস্তা করার পর দুধের তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। ঈদের দিন সকালে কোন ধরণের পেটের সমস্যাতে ভুগতে না চাইলে,খালি পেটে দুধের তৈরিখাবারনা খাওয়ায় ভাল। যাদের,গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা আছে তাদের সকালে খালি পেটে দুধের তৈরি কোন খাবার খাওয়া অনুচিত।

কাজের ফাঁকে ছোট ছোট মিল নিন


 
মনে,রাখবেন কোরবানি ঈদে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে তাই,কাজের ফাঁকে অল্প অল্প করে খাবার খেতে থাকবেন। তাহলে,কাজের চাপে দুর্বল হয়ে পড়বেন না। সকালের নাস্তার পর,দুপুরের খাবার খাওয়ার আগ পর্যন্ত এই সময়টাতে একটি ফল,এক মুঠো বাদাম,একটি খেজুর বা ২ টি বিস্কিট খেতে পারেন।এনার্জির অভাব হবে না।

পরিমাণ মত পানি পান করুন


 
গৃহকর্ত্রীরা ঈদের দিন রান্না বা কাজের আয়োজনে যাবার পূর্বেই ভর-পেট খেয়ে নিন। এছাড়া,ডিহাইড্রেশন এবং মাথা ব্যথা এড়াতে চাইলে সারাদিনে পরিমাণ মত পানি এবং শরবত খেতে ভুলবেন না।এছাড়া,যাদের,ব্লাড প্রেসার লো থাকে,এমন ব্যস্ত দিনে একটি ওর স্যালাইন খেতে ভুলবেন না। একবারে,অনেক পানি না খেয়ে অল্প অল্প করে পানিখাবেন।পাশাপাশি,শরবত,ডাবের পানি বা গ্লুকোজ খেতে পারেন। নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সাথে সাথে পরিবারের অন্য সদস্য,যারা পশু কোরবানির সাথে জড়িত তাদেরকে ও পানি এবং শরবত দিতে ভুলবেন না।

অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না


 
কোরবানি ঈদে ব্যস্ততার কথা সবারই জানা।তবে,এই ব্যস্ততায় নিজের কথা ভুলে গেলে চলবে না।সকালের খাবার বিকালে এমন করা উচিত নয়।সময় মত খেয়েই তবে কাজ শুরু করবেন।
সবার ঈদ কাটুক আনন্দে।

লেখক : পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড